শালিখা (মাগুরা) প্রতিনিধি
মাগুরার শালিখায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে নেই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন। এতে ধীর গতিতে চলছে অফিসের কার্যক্রম। ফলে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত খামারীরা সেবা পাচ্ছেন না।
গত রোববার উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে অসুস্থ পশু নিয়ে এসেছেন খামারিরা। আবার অনেক খামারিরা এসেছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কাছে পশুপালন সম্পর্কিত পরামর্শ নিতে। কিন্তু অফিসে পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় তাঁরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। এ ছাড়া অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সময়মতো অফিসে আসেন না বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আনিসুল হকের পদোন্নতিজনিত বদলির কারণে পদটি শূন্য হয়। বর্তমানে পদটিতে অতিরিক্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মদন কুমার রায়।
মদন কুমার বলেন, শালিখায় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পদ শূন্য হওয়ার পর থেকে আমি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি। সপ্তাহে ২-৩ দিন এই দপ্তরটির জন্য যথেষ্ট নয়। তবু আমার যতটুকু দায়িত্ব তা পালন করছি।’
মদন কুমার আরও জানান, শালিখা উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের বিভিন্ন জরুরি ফাইলগুলো সই করা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি নেওয়া এবং নানা প্রয়োজনে দপ্তরটির লোকদের কষ্ট করে যেতে হয় শ্রীপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে। যা মোটেও সমীচীন নয়।
এ ছাড়াও গত তিন বছর আগে উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন কর্মকর্তা মাসুমা খাতুন এর বদলি জনিত কারণে শালিখা উপজেলার ভেটেরিনারি সার্জন এর পদ শূন্য হয় যেখানে নতুন করে এখনো কাউকে পদায়ন করা হয়নি।
শালিখা উপজেলা পশুসম্পদ অফিসে সেবা নিতে আসা কয়েকজন লোকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দপ্তরটিতে প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ও ভেটেরিনারি সার্জন কর্মকর্তা না থাকায় পশু চিকিৎসা ও লালন-পালনের বিষয়ে পরিপূর্ণ সেবা পাচ্ছেন না তাঁরা।
এ ব্যাপারে মাগুরা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তাঁরা বলেছেন, পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় এমন সমস্যা হচ্ছে। তবে নতুন করে লোকবল নিয়োগ দিলে এ সমস্যার সমাধান হবে।’