করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ রোধে বিভিন্ন স্থলবন্দরে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা জারি করা হলেও দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে এখনো কোনো নির্দেশনা জারি করা হয়নি। আগের নিয়মেই করোনার সংক্রমণরোধে নেওয়া পদক্ষেপেই চলছে ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম। অনেক যাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই চলাচল করতে দেখা গেছে।
তবে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের বিষয়ে এখন পর্যন্ত নতুন কোনো নির্দেশনা পাননি বলে জানিয়েছেন হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ওসি সেকেন্দার আলী। তিনি জানান, হিলি দিয়ে যেহেতু এখনো বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাত্রী যাওয়া শুরু হয়নি। শুধু অনুমতি নিয়ে ভারত থেকে যাত্রী আসতে পারেন। তাই আগের নিয়মেই ভারত থেকে আসা যাত্রীদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষার সনদ নিয়ে দেশে প্রবেশ করতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সরেজমিনে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণরোধে ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে স্থাপিত মেডিকেল দলের সদস্যরা তখন পর্যন্ত কেউ বুথে আসেননি। এদিকে ওই সময়ের মধ্যে ভারত থেকে পাসপোর্টে এক যাত্রী দেশে এসে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম সম্পূর্ণ করে চেকপোস্ট এলাকা ত্যাগ করেন। যদিও এরপর ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে কর্তব্যরত মেডিকেল দলের এক সদস্য আসেন। পরে ওই যাত্রীর কোনো স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই হেলথ কার্ডে স্বাক্ষর করতে দেখা গেছে।
চেকপোস্টে মেডিকেল দলের স্বাস্থ্য সহকারী সোহেল রানা বলেন, ‘করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে কোনো নির্দেশনা এখন পর্যন্ত পাইনি। তবে আমরা আগের নিয়মেই ভারতফেরত যাত্রীদের জ্বর-সর্দি, কাশি এমন নমুনা যদি কারও দেখা দেয়, তাহলে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থানান্তর করি। সেখানে কাউকে সন্দেহ হলে তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে পজিটিভ হলে হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।’