হোম > ছাপা সংস্করণ

সিলেটে কোটিপতি মঞ্জুর ঋণহাজার কোটি টাকা

লবীব আহমদ, সিলেট

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সিলেটের গোলাপগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় নয়জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ছয়জন ব্যবসায়ী, একজন আইনজীবী, একজন অভিনয়শিল্পী ও একজন ঠিকাদার। তাঁদের মধ্যে বার্ষিক আয়, অস্থাবর সম্পদ ও ঋণে এগিয়ে রয়েছেন গোলাপগঞ্জ উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি। অন্যদিকে স্থাবর সম্পদে এগিয়ে রয়েছেন তাঁর এক প্রতিদ্বন্দ্বী আবু সুফিয়ান। এই ৯ প্রার্থীর মধ্যে স্বশিক্ষিত আছেন একজন। তাঁদের হলফনামা ঘেঁটে এসব তথ্য জানা গেছে।

গোলাপগঞ্জ: গোলাপগঞ্জ উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যানসহ প্রার্থী রয়েছেন তিনজন। তাঁরা সবাই ব্যবসায়ী। হাজার কোটি টাকা ঋণ বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফির। তাঁর বার্ষিক আয় বেড়েছে ২৩ লাখ ২৯ হাজার ৩৬৪ টাকা। বর্তমানে বার্ষিক আয় ১ কোটি ৫৮ লাখ ৩৬ হাজার ১৭৫ টাকা আর আগে ছিল ১ কোটি ৩৫ লাখ ৬ হাজার ৮১১ টাকা। অস্থাবর সম্পদ কমেছে ২ কোটি ৩৮ লাখ ৬৯ হাজার ১৭৫ টাকার। আগে স্ত্রীর নামে অস্থাবর সম্পদ ১ কোটি ৩১ লাখ ১ হাজার ৪০৩ টাকা থাকলেও বর্তমানে নেই। মঞ্জুর স্থাবর সম্পদ অপরিবর্তিত রয়েছে। তাঁর ঋণ রয়েছে ১ হাজার ৫২৮ কোটি ৯১ লাখ ২৮ হাজার ৮০৯ টাকা। তবে আগে কোনো ঋণ ছিল না।

এ উপজেলার আরেক প্রার্থী শাহিদুর রহমান চৌধুরী স্নাতক পাস। ব্যবসা থেকে তাঁর বছরে আয় ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। তাঁর অস্থাবর সম্পদ ৫ লাখ টাকা। স্থাবর সম্পদ নিজ নামে ১১ শতক কৃষিজমি, ৭ শতক অকৃষিজমি ও ৪৪৮ বর্গমিটার দোতলা দালান এবং স্ত্রীর ৬ শতক কৃষিজমি। তাঁর ব্যাংকঋণ আছে ৬৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

আবু সুফিয়ান ব্যবসায়ী। তাঁর বাৎসরিক আয় ৮ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৩ টাকা। অস্থাবর সম্পদ ১ কোটি ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৮১৬ টাকা। স্থাবর সম্পদ ৩ কোটি ১৭ লাখ ১০ হাজার ৮৩ টাকা। তারও ঋণ রয়েছে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

দক্ষিণ সুরমা: দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ছয় প্রার্থীর মধ্যে বাৎসরিক আয়ে এগিয়ে বদরুল ইসলাম। পেশায় ঠিকাদার বদরুলের বছরে আয় ১৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫২৭ টাকা। অস্থাবর সম্পদ ৫ লাখ ১২ হাজার ৪৬০ টাকার।

এলএলবি পাস মোহাম্মদ শামীম আহমদের বিরুদ্ধে একটি মামলা ছিল, যা বাদী কর্তৃক প্রত্যাহার হয়। তাঁর বাৎসরিক আয় ৭ লাখ ১৮ হাজার ৬৩৬ টাকা।

মইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা ছিল, যেগুলো থেকে তিনি খালাস পেয়েছেন। ব্যবসা থেকে তাঁর বছরে ২ লাখ ৬৭ হাজার ২০০ টাকা আয়। বর্তমানে তাঁর অস্থাবর সম্পদ ১৬ লাখ ৬৬ হাজার ১৬২ টাকা, যা আগে ছিল ২ লাখ ৮৯ হাজার ৫০৬ টাকা। স্থাবর সম্পদ ৩২ লাখ টাকা, আগে ছিল ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

স্থাবর সম্পদ নেই সাহেদ মোশাররফের। স্বশিক্ষিত মো. সাহেদ মোশাররফ সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় নাটক করেন। তিনি কটাই মিয়া নামে পরিচিত। অভিনয় থেকে বছরে তাঁর ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা আয়। তাঁর অস্থাবর সম্পদ ৯ লাখ ২ হাজার টাকা।

মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ব্যবসায়ী। ব্যবসা থেকে তাঁর বছরে ৩ লাখ টাকা আয়। অস্থাবর সম্পদ আছে ১ লাখ ৫১ হাজার টাকার। মোহাম্মদ জুয়েল আহমদ সপ্তম শ্রেণি পাস ও ব্যবসায়ী। ব্যবসা থেকে বছরে এ প্রার্থীর আয় ১ লাখ ২ হাজার ১৯০ টাকা।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন