কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোট শুরুর কিছু সময় পরেই ফাঁকা ফলাফল পত্রে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের কাছ থেকে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. শাহজালালের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউপির উত্তর চর সাজাই মণ্ডলপাড়া কেন্দ্রে।
ভোট গণনার পরে স্বাক্ষর নেওয়ার কথা থাকলেও আগে নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শাহজালাল সাংবাদিকদের জানান, ‘কাজ এগিয়ে নেওয়ার স্বার্থে’ তিনি এমনটি করেছেন।
এদিকে রাজিবপুর উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ফাঁকা ফলাফল পত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। নির্দেশনা দেওয়ার পরেও প্রিসাইডিং কর্মকর্তা অনিয়ম করলে আমার করার কিছুই নেই।’
এ ব্যাপারে রাজীবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিত চক্রবর্তীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে খোঁজ নিতে বলেছি। তিনি তদন্ত করে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেবেন।’
কোদালকাটি ইউপির দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার গোলাম ফেরদৌসকে ফোন দিলে তিনি বেলা সাড়ে তিনটায় আজকের পত্রিকার প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমি কেন্দ্রে এসেছি। বিষয়টি নিয়ে খোঁজ না নিয়ে কিছু বলতে পারছি না। ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত আমি এই কেন্দ্রে থাকব।’
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম রাকিব অভিযুক্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলেন, ‘হাজিরা পত্রে স্বাক্ষর না নিয়ে তিনি ভুলে ফলাফলের পত্রে এজেন্টদের স্বাক্ষর নিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি ভুলে এটা করেছেন বলে জানিয়েছেন।’ ওই পত্রগুলো বাতিল করে নতুন করে ফলাফল পত্রে স্বাক্ষর নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।