চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি
ভোলার পরানগঞ্জ বাজার থেকে চরফ্যাশন-বাবুরহাট পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়কটি ৩০ ফুট প্রশস্তকরণ কাজ চলমান রয়েছে। ভোলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের দরপত্রে এই সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওটিবিএল। এ নির্মাণকাজে মাটি উত্তোলনের সময় মাটি কাটাযন্ত্রে (এক্সক্যাভেটর) বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) অপটিক্যাল ফাইবার ও কোপারওয়ার তার (আন্ডার ক্যাবল) কাটা যাচ্ছে।
বিটিসিএল’র টেকনিশিয়ান মো. শহিদ বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাটি কাটাযন্ত্রের চালক খলিল ও শহিদসহ সংশ্লিষ্ট শ্রমিকেরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন এবং শ্রমিকেরা তারগুলো উঠিয়ে নিয়ে বিক্রি করে ফেলছেন।’
বিটিসিএল চরফ্যাশন শাখার ইনচার্জ মো. ফয়েজ বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী আমাদের সহযোগিতা না নিয়েই চরফ্যাশনে জনতা বাজার থেকে ফ্যাশনগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার ক্যাবল তারগুলো মাটি উত্তোলনের সঙ্গে খামখেয়ালিভাবে নষ্ট করে ফেলছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকেরা।’
ভোলা কর্মকর্তা মনিরুল আলম বলেন, ‘ভোলার ইলিশা থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে আমাদের বিটিসিএলের মাটির নিচ দিয়ে টানা টেলিফোন ও ইন্টারনেটের তার রয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকেরা আমাদের সঙ্গে সমন্বয় ছাড়াই ভোলা থেকে চরফ্যাশন পর্যন্ত সড়কের কাজ করছেন। তাঁরা এই নির্মাণকাজ করতে গিয়ে বিটিসিএলের কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। তাঁদের এই ক্ষতির ফলে টেলিফোন ও ইন্টারনেটের লাইনগুলো নতুনভাবে কার্যক্রম ছাড়া সংস্কার করা সম্ভব না। যার ফলে অফিস-আদালতসহ হাজারো গ্রাহক ভোগান্তিতে রয়েছে।’
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাটি কাটাযন্ত্রের চালক খলিল বলেন, ‘টেলিফোনের তার মাটির সঙ্গে উঠলেও, তা মাটির সঙ্গেই চলে যায়, আবার ছিঁড়ে যায়। এ তার সংগ্রহ করতে শ্রমিকের প্রয়োজন রয়েছে।’
ভোলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. দিদারুল বলেন, ‘এ রকম হওয়ার কথা না। কোম্পানি ও ঠিকাদারের দায়িত্বে থাকা লোকজনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কোম্পানির লোকজন যদি এ রকম করে থাকেন, তাহলে বিষয়টি নিয়ে দায়িত্বে থাকা কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’