বিপ্লব রায়, (শাল্লা) সুনামগঞ্জ
একজনের বয়স ৭০ বছর। আরেকজনের বয়সও মধ্য ষাট হয়ে গেছে। শরীরে কুলায় না। তবু বয়সের ভারে ন্যুব্জ দুজন চালিয়ে যাচ্ছেন জীবনযুদ্ধ। ভোরে পাখির কলবে ঘুম ভাঙে তাঁদের। সারা দিন চলে হাতুড়ি দিয়ে ইট ভাঙার কাজ। একজন শাল্লা উপজেলার মুক্তারপুর গ্রামের সাহেরা বেগম (৬৫) আরেকজন কলেজ রোডের জুহেরা খাতুন (৭০)।
উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সামনেই ইট ভাঙছিলেন তাঁরা। পরিচয় জানতে চাইতেই হাসিমুখে কথা শুরু করলেন। শোনালেন বন্যা পরবর্তী সময়ের সংগ্রামের গল্প।
এ সময় দুজন জানালেন, বন্যায় ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়ায় আর্থিক সংকট দেখা দেয় প্রচণ্ডরকম। হাওর এলাকা হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে কোনো কাজ থাকে না। তাই প্রতিদিন উপজেলা সদরে এসে ইট ভাঙার কাজ করেন। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাঁরা এ কাজ করেন। তবে নির্ধারিত কোনো মজুরি নেই। ১৭ টাকা ফুট পান। কোনো দিন চার ফুট আবার কোনো দিন ছয় ফুট ইট ভাঙেন। যা আয় হয় তা দিয়ে কোনোরকমে চলে সংসার।
সমাজসেবা কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী বলেন, ‘সরকারি সহায়তার জন্য আবেদন করতে হয়। পরে জেলা কমিটির অনুমোদন পাওয়ার পর এ সহায়তা দেওয়া হয়। এরপরও চেষ্টা করব তাঁদের সহযোগিতা করার।’