নাটোরের লালপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে (অনূর্ধ্ব-১৭ বালক) উৎসবের আমেজ দেখা গেছে। দর্শকের উপস্থিতিতে শহীদ মমতাজ উদ্দিন স্টেডিয়াম ফিরে পায় প্রাণ। গত মঙ্গলবার বিকেলে ফাইনাল খেলায় লালপুর ইউনিয়ন একাদশ-গোপালপুর পৌরসভা একাদশকে ১-০ গোলে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়।
খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা সুলতানা। প্রধান অতিথি ছিলেন নাটোর- ১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহা. মোনোয়ারুজ্জামান, গোপালপুর পৌর সভার মেয়র রোকসানা মোর্তুজা লিলি।
লালপুর ইউনিয়ন একাদশের পক্ষে গোল করেন মন্টু। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয় গোপালপুর পৌরসভা একাদশের আশিক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিভিন্ন এলাকার মানুষ ফাইনাল খেলা দেখতে আসতে থাকেন। রিকশা, ভ্যান ছাড়াও হেঁটে দূরদূরান্ত থেকে অনেকে আসেন। দীর্ঘ দিন পর এ আয়োজন ক্রীড়া প্রেমীদের মনে উৎসবের আমেজ ফিরিয়ে দিয়েছে।
টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় পৌরসভা একাদশের আশিক বলেন, তার অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল এই টুর্নামেন্ট খেলার। সে স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় খুশি সে।
উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আশফাকুল ইসলাম রিমন বলেন, টুর্নামেন্টের আয়োজন সার্থক হয়েছে। গত ১৬ মে থেকে শুরু হওয়া খেলায় স্টেডিয়ামে প্রতিদিন প্রচুর দর্শক সমাগম হয়েছে।
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াড় বীর মুক্তিযোদ্ধা তসলিম উদ্দিন বলেন, করোনার কারণে গত দুই বছর জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন হয়নি। এই খেলার মাধ্যমে জাতীয় এবং দেশের বাইরে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ থাকায় টুর্নামেন্টের আকর্ষণ গুরুত্ব পেয়েছে।
সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, সুস্থ ও সুন্দর মনন গঠনের জন্য খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। এ খেলার আয়োজনে দেশের ফুটবল এগিয়ে যাবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের খেলোয়াড়দের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার সুযোগ হবে।