Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

জন্মসনদ পেতে হয়রানি

আনোয়ার হোসেন, মনিরামপুর

জন্মসনদ পেতে হয়রানি

পাঁচ মাস আগে স্ত্রী ও দুই মেয়েসহ নিজের জন্মসনদ করাতে যশোরের মনিরামপুরের খেদাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে আসেন মামুদকাটি গ্রামের হারুন-অর-রশিদ। প্রয়োজনের অতিরিক্ত টাকা দিয়েও জন্মসনদ হাতে পাননি তিনি। দিনের পর দিন পরিষদের বারান্দায় ঘুরে হয়রানির শিকার হচ্ছেন তিনি।

শুধু হারুন-অর-রশিদ নন, একইভাবে সাত মাস আগে খেদাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তার কাছে বয়স সংশোধনের আবেদন দেন টেংরামারী হাইস্কুলের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম। তিনি আজও সঠিক জন্মসনদ হাতে পানি। পরিষদের উদ্যোক্তা আনোয়ার হোসেন তাঁকে ‘আজ না, কাল’-এভাবে ঘুরাচ্ছেন।

জন্মসনদের আবেদন দিয়ে হয়রানির অভিযোগ খেদাপাড়া ইউনিয়নের শত শত মানুষের। দিনের পর দিন পরিষদে হেঁটে তাঁরা জন্মসনদ পান না বলে অভিযোগ। পরিষদের উদ্যোক্তা আনোয়ার হোসেন টাকা নিয়ে কাজ না করে তাঁদের হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ মিলেছে।

এদিকে ভোগান্তির পর জন্মসনদ হাতে পেলেও সেখানে থাকছে নানা ভুল। ফলে বাড়তি টাকা দিয়ে আবার নতুন করে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে পরিষদে সেবা নিতে আসা লোকজনকে।

খেদাপাড়া ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের ভ্যানচালক মতিয়ার রহমান ছেলের জন্য জন্মসনদের আবেদন করে পেয়েছেন বহু পরে। তাও আবার ভুলে ভরা। ফলে ওই সনদ নিয়ে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছেলে আদম আলীকে ভর্তি করাতে ফিরে আসতে হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খেদাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে আনোয়ার হোসেন ও তাঁর স্ত্রীকে উদ্যোক্তা নিয়োগ দেওয়া হলেও মূলত পরিষদে আসেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর স্ত্রী পরিষদে আসেন না। ফলে জন্মসনদে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সেবা নিতে আসা লোকজন।

এ দিকে ভুলে ভরা জন্মসনদের ভোগান্তির বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন কল করা হয়েছে খেদাপাড়া ইউপির সচিব মৃনাল কান্তিকে। তিনি ফোন ধরেননি।

উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার প্রহল্লাদ দেবনাথ বলেন, ‘হারুর-অর-রশিদের জন্মসনদের বিষয়ে উদ্যোক্তা আনোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চেয়েছি। তিনি কাগজপত্র হারিয়ে ফেলেছে বলে জানিয়েছে। আমি আনোয়ার হোসেনকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি। সামনে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি লিখিত আকারে জানানো হবে।’

খেদাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম জিন্নাহ বলেন, ‘হারুনের আবেদন খুঁজে পাচ্ছে না উদ্যোক্তা। আমার কাছে হারুন এসেছিলেন। তাঁকে বলেছি, নতুন আবেদন দিতে। আবেদন পেলে ওই দিনই আগের খরচে তাঁর জন্মসনদ করে দেব।’

চেয়ারম্যান বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমি পরিষদে নতুন লোক নিয়োগ দিয়েছি। উদ্যোক্তা আনোয়ারের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ। বিষয়টি ইউএনওকে লিখিত আকারে জানিয়ে তাঁকে সরানোর ব্যবস্থা করছি।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ