কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় নিময় না মেনে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম (এলপি) গ্যাসের সিলিন্ডার ও পেট্রল। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
জানা গেছে, উলিপুর পৌর শহরের মধ্যবাজার, বাসস্ট্যান্ড, পূর্ববাজার, লাদেন মোড়, তেতুলতলাবাজার, থানা মোড়, গুনাইগাছ মোড়, আমিন মোড়, গবা মোড়, পোস্ট অফিস মোড়ে অবাধে বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস ও পেট্রল। ইলেকট্রিক দোকান, রেস্তোরাঁ, মুদির দোকান, ক্রোকারিজের দোকান, কাপড়ের দোকান, মোটরসাইকেলের গ্যারেজসহ বিভিন্ন ধরনের দোকানে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার ও পেট্রল বিক্রি করা হচ্ছে।
পৌরসভার বাইরে উপজেলার প্রায় ১৩টি ইউনিয়নের ছোট-বড় হাটবাজারে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার ও পেট্রল। আর তা রাখা হচ্ছে খোলা জায়গায়। এ ছাড়া প্রতিটি সড়কের বিভিন্ন দোকানের সামনে গ্যাসের সিলিন্ডার ও পরিত্যক্ত পানীয় বোতলে পেট্রল ভরে সাজিয়ে রাখা হয়। গ্যাস ও পেট্রল বিক্রির ক্ষেত্রে যেসব নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত এর একটিও কোথাও মানা হচ্ছে না। এর সঙ্গে নেই বৈধ লাইসেন্স। উপজেলায় দুটি পেট্রল পাম্প থাকলেও এর মধ্যে একটি বিভিন্ন কারণে বছরের অধিকাংশ সময় বন্ধ থাকে।
পথচারী শাহ আলম মিয়া, রুবেল সরদার, বাবলু মিয়াসহ অনেকে জানান, সড়কের পাশে প্রায় দোকানেই গ্যাস সিলিন্ডার ও পেট্রল বিক্রি হয়। একটু অসতর্কতা হলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে। সড়কের পাশে এসব থাকা বিপজ্জনক।
পৌরসভার বাজার এলাকার মুদি দোকানি মাঈদুল ইসলাম জানান, তিনি দোকানের ট্রেড লাইসেন্সের আবেদন করেছেন। এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের বিক্রিতে লাইসেন্সের বিষয়ে কিছু জানেন না তিনি।
উলিপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা সাইফুর রহমান বলেন, ‘গ্যাসের সিলিন্ডারের ব্যবসা করলে অবশ্যই তাঁকে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স নিতে হবে।’
ইউএনও বিপুল কুমার বলেন, ‘দাহ্য পদার্থ ও গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির সুনির্দিষ্ট বিধিমালা আছে। যত্রতত্র বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। নির্দেশনা না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। ’