নারায়ণগঞ্জে অতীতের সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলো গ্রহণযোগ্য হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন নারায়ণগঞ্জের একটা ঐতিহ্য। আমি অবশ্যই আশা করব, এবারের নির্বাচনটিও শতভাগ শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য হবে। তবে ইভিএমে এবারের নির্বাচন হওয়ায় এবং নির্বাচন কমিশনের সাম্প্রতিক দায়সারা কর্মকাণ্ডে ভোট গ্রহণের স্বচ্ছতা কতটা নিশ্চিত হবে, তা বলা যাচ্ছে না।
কারণ, ইভিএমে ভোট গ্রহণ সবচেয়ে দুর্বল পদ্ধতিগুলোর একটি। এর মধ্য দিয়ে ফলাফল যেকোনো দিকে নিয়ে যেতে পারে।
যেহেতু এটা কমিশনের হাতে আছে, তাই তারা চাইলে ফলাফলও পাল্টে দিতে পারবে। আমাদের দেশে নির্বাচনে যে ইভিএম ব্যবহার করা হয়, এর কোনো পেপার ট্রেইল নেই। ফলে ভোট দেওয়ার পর একজন ভোটার কাকে ভোট দিয়েছেন, এটা সে নিজেই দেখতে পারে না। তবু আশা করি ভোটাররা সাহস করে কেন্দ্রে যাবেন এবং তাঁদের পছন্দের যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।
সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা নির্বাচনে সহিংসতার জন্য প্রার্থী এবং তাঁদের সমর্থকদের দায়ী করে বক্তব্য দিয়েছেন। একই সঙ্গে নাসিক নির্বাচনেও প্রার্থী এবং তাঁদের সমর্থকেরা নমনীয় থাকলে সহিংসতা হবে না বলেও দাবি করেছেন তিনি। তাঁর এ বক্তব্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্বজ্ঞানহীন। নির্বাচন কমিশন যদি ভোটারদের নিরাপত্তাই নিশ্চিত করতে না পারে তাহলে তাদের কাজ কী? আমরা দেখেছি, নাসিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলফনামায় অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে নীরব থেকেছে। প্রার্থীদের আয়কর বিবরণীর তথ্য প্রকাশ না করে এবং অসম্পূর্ণ হলফনামা প্রকাশের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন ভোটারদের বঞ্চিত করেছে।
দিন পেরোলেই আমরা দেখতে পাব বহুল আলোচিত ও প্রত্যাশিত এ নির্বাচনে কে জিতবে। আমি বলব, ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে। আর যে-ই জিতুন না কেন তিনি যেন সৎভাবে জনগণের কল্যাণে কাজ করেন।