কাজী সালাউদ্দিন, বাফুফে সভাপতি ও সাবেক ফুটবলার
ভীষণ কষ্টের একটা খবর, পেলে চলে গেলেন। দুই বছর আগে ম্যারাডোনার মৃত্যুর খবর আমাকে ভীষণ কষ্ট দিয়েছিল। শঙ্কায় ছিলাম পেলেকে নিয়েও। তাঁর শরীরটা অনেক দিন থেকেই ভালো যাচ্ছিল না। গত পরশু রাতে বাসায় গিয়ে যখন পেলের মৃত্যুর খবর পেলাম, ভীষণ কষ্ট পেয়েছি।
যদি পেলেকে নিয়ে বলতেই হয়, শুধু এটাই বলতে হবে, পেলে হচ্ছেন পেলে। তাঁর তুলনা শুধু তাঁর সঙ্গেই। মাঠে, মাঠের বাইরে তিনি যা করেছেন, গোটা পৃথিবী আজ শোক প্রকাশ করবে।
২০০৬ সালে পেলে ভারতে এসেছিলেন। তখনো আমি বাফুফের সভাপতি হইনি। ওখানে ফুটবল কিংবদন্তির সঙ্গে দেখা হয়েছিল। অল্পস্বল্প কথা হয়েছিল। তাঁকে আমার পরিচয় দিতেই বলেছিলেন, ‘তোমাদের দেশে একদিন যেতে চাই।’ বাংলাদেশের কথা তিনি জানতেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা আর হলো না। যখন আমি বাফুফে সভাপতি হলাম তত দিনে পেলের স্বাস্থ্যের অবস্থা খারাপ হওয়া শুরু করেছিল। লম্বা ভ্রমণের অবস্থায় তিনি ছিলেন না। তাঁকে বাংলাদেশে আনতে না পারার আক্ষেপটা সারা জীবনই থেকে যাবে।
ম্যারাডোনা-পেলেকে নিয়ে অনেক তুলনা হয়েছে। আসলে এখানে কোনো তুলনাই চলে না। তাঁরা দুজন দুই প্রজন্মের ফুটবলার। নিজেদের প্রজন্মে তাঁরা সেরা, কিংবদন্তি। তাঁদের ভক্ত-সমর্থকেরাও আলাদা প্রজন্মের। তাঁদের তুলনা করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।