নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মাহমুদাবাদে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমানের স্মৃতি প্রতিকৃতিটি দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন-অবহেলায় পড়ে রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিকৃতিটির বেদিতে জুতা পায়ে বসে রয়েছেন কয়েকজন স্থানীয়। এটি ঘেঁষে বসেছেন মাছ, তরকারি নিয়ে বিক্রেতারা।
প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা এখানে হাট বসে। বাজারের ময়লা-আবর্জনা প্রতিকৃতিটির পাশেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে স্তূপ আকারে ফেলা হচ্ছে। অবহেলা আর অযত্নে প্রতিকৃতিটি এখন সৌন্দর্য হারিয়েছে। এটি ঢেকে গেছে আগাছায়। দেখে বোঝার উপায় নেই এটি একটি শহীদ প্রতিকৃতি।
এদিকে বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমানের স্মৃতিকে ধরে রাখার প্রয়াসে ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ উপজেলার সাবেক রামনগর গ্রামে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের নামে গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর স্থাপিত হয়। গ্রন্থাগারে কিছু বই থাকলেও জাদুঘরে বীরশ্রেষ্ঠের কোনো স্মৃতিচিহ্ন নেই। বীরশ্রেষ্ঠের নামে গ্রামের নামকরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাশে খোলা জায়গার পাশাপাশি ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক থাকায় এখানে ময়লা ফেলতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান আমাদের এলাকার গর্ব। তাঁর স্মৃতি রক্ষার্থে স্থানীয়দের সচেতনতাই পারে এটাকে রক্ষা করতে। পাশাপাশি সুরক্ষিত রাখতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করি।’
যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো নজরুল ইসলাম বলেন, চারপাশে প্রতিনিয়ত হাট বসে। কয়েকবার স্থানীয়দের সচেতন করা হয়েছে। তাঁরা শুনছেন না। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। শিগগির সড়ক বড় হচ্ছে। এটা ভাঙা পড়বে। এটাকে গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরের পাশে পরবর্তী সময়ে স্থাপন করার কথা রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আজগর হোসেন বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চার লেনে উন্নীত করতে সড়ক ও জনপথ থেকে জমি অধিগ্রহণের পর তা ভেঙে ফেলার জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে।