অশেষ বিশ্বাস
স্মার্টফোনের এই যুগে হাতঘড়ির দিকে তাকাতে আমরা অনেকটা ভুলেই গেছি। তবুও ফ্যাশন অনুষঙ্গ হিসেবে হাতঘড়ির আবেদন অস্বীকার করা যাবে না। সঠিক যত্নের অভাবে আপনার ফ্যাশনেবল এ অনুষঙ্গটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যেতে পারে। তাই হাতঘড়ির যত্নে ৫টি ভুল এড়িয়ে যেতে হবে।
পরিচ্ছন্নতায় অবহেলা
ময়লা, অ্যাসিড ও ব্যাকটেরিয়া হাতঘড়ির শত্রু। আর এগুলো ঘড়ির সংস্পর্শে আসে আপনার কবজি থেকে। কবজি থেকে ঘাম বের হয়। ঘামে লবণ থাকে, যা হাতঘড়ির চামড়ার বেল্টের ক্ষয়সাধন করে। তাই ঘড়ি পরিষ্কারে অবহেলা করবেন না। বাড়ি ফিরে বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় হাতঘড়ি খুলে রেখে দিন। পরিষ্কার ও নরম সুতির কাপড় দিয়ে ঘড়ি মুছে নিন।
সুগন্ধির সংস্পর্শে আনা
হাতে ঘড়ি পরা অবস্থায় কবজিতে সুগন্ধি না লাগানোই ভালো। দাগ পড়তে পারে অথবা চামড়ার বেল্ট নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সুগন্ধির সংস্পর্শে না এলে হাতঘড়ি অনেক দিন ভালো থাকবে।
বাক্স ব্যবহার না করা
আমরা হাতঘড়ি একটু বেশি টাকা দিয়ে কিনতেই ভালোবাসি। ফলে ব্র্যান্ডের ঘড়িই কেনা হয়। কিন্তু হাতঘড়ি ব্যবহারের শেষে অনেকেই ভালোভাবে মুছে বক্সের ভেতর রাখেন না। ফলে এগুলো বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়ে নষ্ট হয়ে যায়।
ম্যানুয়ালি না চালানো
হাতঘড়ি যদি বেশ কিছুদিন বক্সে রাখা থাকে তাহলে পরার পর ঘড়িটিকে ঝাঁকিয়ে নয়, ম্যানুয়ালি চালানোই ভালো। তাতে ঘড়ির সূক্ষ্ম যন্ত্রাংশের ওপর চাপ পড়বে না।
ঘড়ি সূর্যের আলোয় রাখা
সূর্যের আলো আপনার ঘড়ির রং বিবর্ণ করতে পারে। এ ছাড়া তাপ ব্যাটারির আয়ু কমিয়ে দিতে পারে। তাই আপনার ঘড়িটি সরাসরি সূর্যের আলোয় রাখা থেকে বিরত থাকুন।
সূত্র: বিগ ইজি ম্যাগাজিন