কয়েক দিন ধরে উত্তপ্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তমব্রু ও বাইশফাঁড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অংশ। দেশটির রাখাইন রাজ্যে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর পাল্টাপাল্টি গোলাগুলি চলছে। গতকাল রোববার দুপুরেও বিদ্রোহী আরাকান আর্মিকে লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মিয়ানমার সেনারা হেলিকপ্টার থেকে গোলাবর্ষণ করেছে। বিদ্রোহীরাও পাল্টা মর্টার শেল মেরেছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তমব্রু বিওপি এলাকা পরিদর্শন করেন। গতকাল বেলা সোয়া ২টায় তিনি সফরসঙ্গীদের নিয়ে সেখানে যান।
এ সময় তাঁকে অভ্যর্থনা জানান কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সাইফুল ইসলাম চৌধুরী। মহাপরিচালক বেলা পৌনে ৩টার দিকে ঘুমধুম, তমব্রু, হোয়ানক ও টেকনাফের কয়েকটি বিওপি এলাকা পরিদর্শন শেষে বিকেল ৪টার পর কক্সবাজারে যান। এ সময় তিনি সীমান্তের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হন। আর বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষীদের দিকনির্দেশনা দেন। পাশাপাশি বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেন। এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিজিবি।
তমব্রু এলাকার ব্যবসায়ী ছৈয়দ আলম ও সরওয়ার কামাল জানান, তাঁরা মসজিদে নামাজ পড়ে বের হচ্ছিলেন, তখন মিয়ানমার আকাশে দুটি হেলিকপ্টার খুব দ্রুত এসে সীমান্তের আরাকান আর্মিকে লক্ষ্য করে সাত-আটটি গোলা নিক্ষেপ করে। সঙ্গে সঙ্গে আস্তানা থেকে বিদ্রোহী আরাকান আর্মিও পাল্টা সেই হেলিকপ্টারকে লক্ষ করে মর্টার শেল মারে।
ছৈয়দ আলম ও সরওয়ার কামাল আরও বলেন, তিন দিন ধরে তমব্রু সীমান্তের ওপারে কাঁটাতার-ঘেঁষা এলাকায় সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মি ও আরএসও এর মধ্য তুমুল সংঘর্ষ চলছে।
এ ঘটনার পর তমব্রু কোনারপাড়ার লোকজন পরিবার-পরিজন নিয়ে নিরাপদে আশ্রয়ে চলে গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ।