রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মদাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনুসহ আটজনের বিরুদ্ধে কালুখালী থানায় মামলা হয়েছে। মদাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পারভেজ শেখসহ তিনজনকে পিটিয়ে জখম ও বসতঘর ভাঙচুরের অভিযোগে এ মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী পারভেজ শেখ নিজে বাদী হয়ে গত শনিবার সকালে এ মামলা করেন।
ওই দিন দুপুরে পুলিশ মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনুকে গ্রেপ্তার করেছে। দুপুরে গ্রেপ্তার হওয়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনুকে আদালতে পাঠালে বিকেলে রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ কোটের বিশেষ আদালতে ওঠালে বিচারক ইকবাল হাসান তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।
গ্রেপ্তার মজনু কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। বিগত ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এ মামলার অপর এজাহারভুক্ত আসামিরা হলো মুক্তার হোসেন, মো. খলিল, আবুল কালাম, সাজন ফকির, মন্টু মোল্লা, মিঠু ফকির ও সিরাজুল ইসলাম।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিগত ইউপি নির্বাচনে পারভেজ শেখ ও তাঁর চাচাতো ভাই হারুন অর রশীদ, প্রতিবেশী ইউনুস আলী নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করেন। এ কারণে মিজানুর রহমান মজনু তাঁদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে মজনুর নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত তাদের ওপর হামলা চালায়। দুর্বৃত্তরা লোহার রড, লাঠিসোঁটা দিয়ে তাঁদের পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। তাঁদের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে গত শুক্রবার সকালে আবারও হামলা চালিয়ে প্রথমে তাঁর চাচাতো ভাই হারুন অর রশীদের বাড়ি ও পরে তাঁর নিজের বসতবাড়ি ভাঙচুর করে। দুর্বৃত্তরা যাওয়ার সময় তাঁর বোনের বিয়ের জন্য ঘরে রাখা নগদ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যান।
কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান জানান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পারভেজ শেখের ওপর হামলা ও বসতঘর ভাঙচুরের ঘটনায় গত শনিবার দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনুকে কালুখালী উপজেলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে আদালতে চালান করা হয়েছে। মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।