যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে নির্যাতন এবং ভ্রূণ নষ্ট করে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
গতকাল শনিবার দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ওই নারী এই অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, স্বামীর নির্যাতনের বিষয়ে তিনি আদালতে মামলা করেছেন। কিন্তু সেটির তদন্তকে প্রভাবিত করা হচ্ছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন মাসাদুল হাসান। তাঁর বাড়ি নগরীর ছোটবনগ্রামে। তিনি নগরীর কলাবাগান এলাকার একটি মসজিদের ইমাম। তাঁর স্ত্রী মৌসুমী খাতুনের বাবার বাড়ি ছোটবনগ্রাম বারো রাস্তার মোড়ে।
সংবাদ সম্মেলনে মৌসুমী বলেন, ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর মাসাদুলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের দুই বছরের একটি মেয়ে আছে। বিয়ের এক বছর না যেতেই মাসাদুল যৌতুক হিসেবে একটি মোটরসাইকেল অথবা দুই লাখ টাকা দাবি করেন। এটি দিতে না পারায় বিভিন্ন অজুহাতে তাঁকে নির্যাতন শুরু করেন স্বামী। এ নিয়ে বিচার চাইতে তিনি নগরীর এক কাউন্সিলরের কাছে যান। কিন্তু মাসাদুলের বাবা মাসদার রহমান রাসিকের গাড়িচালক হওয়ায় বিচার পাননি তিনি। পরে পাশের ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের কাছে গিয়েও প্রতিকার মেলেনি। পরে তাঁর স্বামী বিচ্ছেদ চেয়ে রাসিকে আবেদন করেন। এরপর গত ১৩ জানুয়ারি সিটি করপোরেশনের পাঁচজন কাউন্সিলর দুই পক্ষকে নিয়ে সালিসে বসেন। সে সময় অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন মৌসুমী। তাই মৌসুমীকে স্বামীর কাছে তুলে দেওয়া হয়।
মৌসুমী আরও বলেন, গত ২৩ জানুয়ারি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাঁর পেটে লাথি মারেন তাঁর স্বামী। তখন তিনি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। পরদিন একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভ্রূণ হত্যা করা হয় তাঁর। ২৬ জানুয়ারি স্বামী তাঁকে তালাক দিয়েছেন বলে লোকমুখে শোনেন। তবে তিনি এখনো কাগজ হাতে পাননি। বিষয়টির সমাধানের জন্য কাউন্সিলরদের কাছে গেলেও কেউ তাঁকে পাত্তা দেননি। পরে এ নিয়ে আদালতে নারী নির্যাতনের মামলা করেন তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মৌসুমীর স্বামী মাসাদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সব অভিযোগ মিথ্যা। মামলা হওয়ায় বিষয়টি এখন বিচারাধীন। তাই এ নিয়ে কোনো কথা বলতে চান না তিনি।