কুষ্টিয়ার খোকসার বাজারগুলোতে শীতের আগাম শাক সবজি আসতে শুরু করেছে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে। সবজির সরবরাহ দিনে দিনে বাড়লেও দাম কমছে না।
গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে কেজি প্রতি সবজির দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এ সপ্তাহ থেকে বাজারে শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি বরং বেড়েছে। তবে শীত যত বাড়বে সবজির সরবরাহ আরও বাড়বে এবং তখন হয়ত দাম কমবে।
ক্রেতারা জানান, শীতের আগাম সবজি কেনার আগ্রহ থাকে অধিকাংশ ক্রেতারই। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রতিবছরই ব্যবসায়ীরা আগাম শীতের সবজিকে পুঁজি করে দাম হাঁকান।
উপজেলার বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, কেজি প্রতি ফুলকপি ৮০-৮৫ টাকা, পাতাকপি ৫০-৫৫ টাকা, পালংশাক ৪০-৫০ টাকা, ধণেপাতা ১৫০-১৬০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৫০-৫৫ টাকা, কচু ৩০ টাকা, পটল ৩৫ টাকা, ঝিঙে ৪০ টাকা, শিম ৫০ টাকা, কঁচুরমুখী ৩০ টাকা, পেঁপে ১৫ টাকা, কাঁচকলা ৩০ টাকা হালি, ঢেঁড়শ ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, লাউ আকার ভেদে প্রতি পিচ ২৫-৩৫ টাকা, লালশাক ১৫-২০ টাকা আটি, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৯০-১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
খোকসা পৌর বাজারের সবজি ব্যবসায়ী শিমুল হোসেন বলেন, আমদানি কম তাই দাম বেশি। তবে বাজারে শীতের আগাম সবজির সরবরাহ বাড়ছে। তাই আশা করা যায় কিছুদিনের মধ্যে দাম কমে যাবে।
কমলাপুর গার্লস স্কুলের মোড়ের সবজি বিক্রেতা রাশিদুল ইসলাম রাসু জানান, ‘বর্তমানে বাজারের সবজির দাম সহনীয়। তবে কয়েকটি সবজির দাম একটু বেশি। তাছাড়া আগাম শীতের সবজির দাম একটু বেশি কারণ বাজারে প্রাপ্তির তুলনায় সরবরাহ কম। অপরদিকে কৃষকরাও নতুন সবজির দাম একটু বেশি রাখে।
কমলাপুরের জাহিদ হাসান এসেছেন খোকসা পৌরবাজারে সপ্তাহের বাজার করতে।
তিনি বলেন, সবজি এখন ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। তাই সবজি কিনতে গেলে আর মাছ-মাংস কেনা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরো বললেন, শীতের সবজি বাজারে আসা শুরু করলেও দাম কমেনি।
মায়ের দোয়া ভান্ডার আড়তের মালিক রহিম উদ্দিন শেখ বলেন, ‘বন্যার কারণে অনেক অঞ্চলের সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে বাজারে শীতের সবজির প্রবাহ কিছুটা কম। তবে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে শীতের সবজির সরবরাহ আরও বাড়বে। তখন দামও স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’