ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীর নহনা নদীর ওপর সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতু উদ্বোধনের দেড় বছরের মাথায় মূল অংশ দেবে (ধসে) গেছে। এ ছাড়া ফাটল ধরেছে সেতুর বিভিন্ন অংশে। এ অবস্থায় ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছেন চার ইউনিয়নের মানুষ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এলজিইডির সঠিক তদারকির অভাব এবং নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আতঙ্ক নিয়ে চলাচল থেকে মুক্তি চেয়ে সেতুটি নতুন করে নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
জানা গেছে, উপজেলার পশ্চিমে অবস্থিত বড়বাড়ী, আমজানখোর, বড় পলাশবাড়ী ও পাড়িয়া ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। রংপুর বিভাগ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ডাঙ্গিবাজার থেকে হরিণমারী জিসি ভায়া আধারদীঘি হাট রাস্তার নহনা নদীর ওপর ২০২০-২১ অর্থবছরে সেতু নির্মাণ করে রংপুরের গুপ্তপাড়ার খায়রুল কবির রানা নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ২৭ লাখ ৬৪ হাজার ৫৬৩ টাকা। ২০২২ সালের শেষে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হলেও উদ্বোধন করা হয় ২০২৩ সালের শুরুতে।
এ বিষয়ে জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন বিশ্বাস বলেন, নির্মিত ওই সেতুটির স্থায়িত্ব কমপক্ষে ৭৫ বছর। এত অল্প সময়ে সেতুর মূল অংশ কেন ধসে গেছে, তা সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।