কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসন থেকে টানা চতুর্থবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীরা জামানত হারান। নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন ও আগামীর রাজনীতি নিয়ে তিনি খোলামেলা কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে।
নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার পেছনে কী কাজ করেছে জানতে চাইলে তৌফিক বলেন, ‘আমি প্রথম নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে প্রতি মাসে মানুষের কাছে যাচ্ছি। তিনটা উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নে আমার যোগাযোগ হয় প্রতি মাসে ১৫-২০ দিন। আমি এলাকাতেই থাকতাম। মানুষের সঙ্গে যে যোগাযোগটা এটাও একটা কারণ। পাশাপাশি বিগত ১৫ বছরে হাওরে যে উন্নয়ন হয়েছে, এ কারণে মানুষ আমাকে বিপুল ভোটে জয়ী করেছে।’
হাওর নিয়ে পরিকল্পনা জানতে চাইলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন, ‘হাওরে একসময় কিছুই ছিল না। এখন মোটামুটি একটা অবস্থাতে চলে গেছি। সামনে এটাকে কানেকটিভিটির দিক দিয়েও এগিয়ে নিতে চাই। কারণ আমাদের এলাকা হচ্ছে উদ্বৃত্ত ফসলের এলাকা।’
ডেইরি বা খামারের সম্ভাবনা নিয়ে তৌফিক বলেন, ‘হাওর কিন্তু ৬ মাস পানির নিচে থাকে। বর্ষা শেষ হওয়ার পর আমাদের বিস্তীর্ণ এলাকা গোচারণ ভূমি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। হাওরে যে দুধ উৎপাদন হয় একবারে পিউর (খাঁটি)। ছয় মাস প্রাকৃতিকভাবেই আমরা দুগ্ধ উৎপাদন করতে পারি। অনেকেই সেটা করতেছে। যদি পৃষ্ঠপোষকতা করতে পারি তাহলে এটা আরও ব্যাপক আকার ধারণ করবে।’