নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মনকান্দা এমইউ আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ কে এম মহিবুল্লাহর ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার কেন্দুয়া থানায় এই মামলা করেন এ কে এম মহিবুল্লাহ। হামলায় আহত অধ্যক্ষ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। কেন্দুয়া থানার ওসি মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন অভিযোগে মাদ্রাসার অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া জুয়েলকে এক বছর আগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ অবস্থায় অভিযুক্ত জুয়েল কয়েক দিন আগে মাদ্রাসায় গেলে তাঁর সঙ্গে গভর্নিং বডির এক সদস্যের ঝগড়া হয়।
গত সোমবার সকালে অভিযুক্ত জুয়েল ও তাঁর সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে স্থানীয় মডেলবাজার এলাকায় অধ্যক্ষ এ কে এম মহিবুল্লাহর ওপর হামলা চালায়।
এর জেরে গত সোমবার সকালে অভিযুক্ত জুয়েল ও তাঁর সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে স্থানীয় মডেলবাজার এলাকায় অধ্যক্ষ এ কে এম মহিবুল্লাহর ওপর হামলা চালায়। এ সময় তিনি মোটরসাইকেলে করে মাদ্রাসায় যাচ্ছিলেন। হামলায় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে তিনি জখম হন। এ ছাড়া মোটরসাইকেলটিও ভাঙচুর করা হয়। একপর্যায়ে মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং জুয়েলের পক্ষের লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলায় আহত অধ্যক্ষকে পরে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার সকালে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে কেন্দুয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জোনাঈদ আফ্রাদ ও কেন্দুয়া থানার ওসি মো. আলী হোসেন মাদ্রাসায় ছুটে যান। এ সময় তাঁরা মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক, গভর্নিং বডির সদস্য ও এলাকার লোকজনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
কেন্দুয়া থানার ওসি মো. আলী হোসেন বলেন, অধ্যক্ষের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।