হোম > ছাপা সংস্করণ

“ক্ষ” ব্যান্ডের প্রত্যাবর্তন

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

ক্ষ—এই যুক্তবর্ণটি দিয়ে কোনো ব্যান্ডের নাম যে হতে পারে, সেটা বোধ হয় ২০১২ সালের আগে সবার ধারণার বাইরে ছিল। ওই বছর ‘আমার সোনার বাংলা’ রবীন্দ্রসংগীত নতুন সংগীতায়োজনে প্রকাশ করে শোরগোল ফেলে দেয় ব্যান্ড ‘ক্ষ’। গানটি একদিকে যেমন প্রশংসা পায়, সমালোচনারও মুখোমুখি হতে হয় তাদের।

তবে ক্ষ ব্যান্ডের যাত্রা শুরু আরও আগে। ২০০৭ সালে দুই বন্ধু সোহিনী আলম ও অলিভার উইকস মিলে গড়ে তোলেন ব্যান্ডটি। লন্ডনভিত্তিক এ ব্যান্ড ইউরোপে অবাঙালিদের কাছে বাংলা গান জনপ্রিয় করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছে। এত নাম থাকতে ক্ষ নামটি কেন বেছে নিলেন তাঁরা? এ প্রশ্নের জবাবে সোহিনী বলেন, ‘ঢাকায় দেখেছি প্রায় সব ব্যান্ডের ইংরেজি নাম। আমরা দেশের বাইরে থাকি। সেখানে বাংলা গানের চর্চা করি। আমি আর অলিভার আমাদের ব্যান্ডের জন্য এমন একটা নাম খুঁজছিলাম, যা অবাঙালিরাও মনে রাখতে পারবে। ক্ষ অক্ষরটি আমাদের দারুণ পছন্দ হয়।’

২০১৫ সালে প্রকাশ পায় ক্ষ ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম। ব্যান্ডের নামেই অ্যালবামটির নাম রাখা হয়। রবীন্দ্র–নজরুলসংগীতের পাশাপাশি আধুনিক, দেশাত্মবোধক ও লোকসংগীত মিলিয়ে অ্যালবামে গান ছিল ১৪টি। প্রথম অ্যালবাম প্রকাশের সাত বছর পর আবার নতুন অ্যালবাম নিয়ে এসেছে ক্ষ। এবার তাদের অ্যালবামে নাম ‘বন্দনা’। ভোকাল সোহিনী আলম বলেন, ‘এ অ্যালবামেও ১৪টি গান রেখেছি। এগুলোর মধ্যে আমাদের কিছু ঐতিহ্যবাহী গান নতুন করে তৈরি করা হয়েছে, নতুন সংগীতায়োজনে। তবে আগের অ্যালবামের সঙ্গে পার্থক্য এটাই, এবার অনেক মৌলিক গানও আছে। লিসা গাজীর লেখা এবং আমার ও অলিভারের সুর করা।’

তবে এবার কোনো রবীন্দ্রসংগীত রাখা হয়নি। জোর দেওয়া হয়েছে নজরুলসংগীতে। সোহিনী বলেন, ‘আমার পরিবার নজরুলসংগীত দিয়ে বেশ প্রভাবিত। আমার মা, খালা—সবাই নজরুলসংগীত গাইতেন। অ্যালবামের শুরুতেই এবার ‘‘আজকে শাদি” নজরুলসংগীতটি রাখা হয়েছে।’ সোহিনী জানিয়েছেন, বাঙালির ঐতিহ্যবাহী পোশাক লুঙ্গি ও শাড়ি নিয়ে দুটি গান রাখা হয়েছে ‘বন্দনা’ অ্যালবামে। গান দুটির নাম ‘লুঙ্গি বন্দনা’ ও ‘শাড়ি বন্দনা’। এ গান দুটি থেকেই নেওয়া হয়েছে অ্যালবামের নাম।

ক্ষ ব্যান্ডের ভোকাল সোহিনীর জন্ম লন্ডনে। মা হিরণ আলমও ছিলেন সংগীতশিল্পী। বিয়ের পর তিনি লন্ডনে চলে যান। সেখানেও তাঁর সংগীতচর্চা অব্যাহত ছিল। মায়ের কাছেই গানের হাতেখড়ি সোহিনীর। মায়ের মৃত্যুর পর ১৯৮৭ সালে ঢাকায় চলে আসেন সোহিনী। ও লেভেল এবং এ লেভেল করেছেন ঢাকায়। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর যুক্তরাষ্ট্রে। কিছুদিন সেখানে চাকরিও করেছেন। এরপর চলে যান যুক্তরাজ্যে। বর্তমানে লন্ডনে থেকেই বাংলা গান নিয়ে কাজ করছেন সোহিনী।

দেশের বাইরে বসে বাংলা গানের চর্চা নিয়ে সোহিনী বলেন, ‘বাংলা গান আমি ছোটবেলা থেকেই শিখে আসছি। পারিবারিকভাবেই বাংলা গানের চর্চা ছিল এবং এখনো আছে। কিন্তু আমার জন্ম যেহেতু বিদেশে, আমি যেভাবে বাংলা গান শুনি এবং আত্মপ্রকাশ করি, সেটা হয়তো ট্র্যাডিশনালি যেভাবে আমরা শুনে এসেছি, সে রকম নয়। যাঁদের জীবনের সঙ্গে গানগুলো মিলে যায়, তাঁরা শোনেন। আর যাঁদের ভালো লাগে না, তাঁদের ক্ষেত্রে কিছু বলার নেই। ওটা নিয়ে চিন্তাও করি না। যদি কেউ আমাদের গান শুনে আনন্দ পান, তাতেই আমি আনন্দিত।’

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন