বিনোদন ডেস্ক
বিশ্বকাপ-জ্বরে কাবু সারা বিশ্ব। বাংলাদেশেও বয়ে যাচ্ছে সেই ঝোড়ো হাওয়া। অন্য সবার মতো বিনোদন অঙ্গনের তারকারাও মেতেছেন প্রিয় দল নিয়ে। চঞ্চল চৌধুরী, আসিফ ও মিম জানালেন এবার কোন দলকে সমর্থন দিচ্ছেন তাঁরা
বিদ্যা সিনহা মিম
গতবার বিশ্বকাপে ব্রাজিল হারায় অনেক কেঁদেছিলাম। এবার নিশ্চিত হাসব। ২০০৬ সাল থেকে নিয়মিত ফুটবল বিশ্বকাপ দেখি। এ বছর এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের সময় টানা শুটিং শিডিউল দেওয়া হয়নি। তাই এবার অনেক ম্যাচ দেখতে পারব। আমি বরাবরই ব্রাজিলের সমর্থক। আমার স্বামী সনিও ব্রাজিলের সমর্থক। ভাগ্যিস, ও ব্রাজিলের সমর্থক, না হয় খেলা দেখার সময় দুজনের ঝগড়া লেগে যেত। যেমনটা হয় আমার বোনের সঙ্গে, ও আর্জেন্টিনার সমর্থক। বিশ্বকাপ চলাকালে তাঁর সঙ্গে চরম ঝগড়া, চিল্লাচিল্লি হয়।
আসিফ আকবর
আমরা যারা বনেদি ব্রাজিল সমর্থক, ব্রাজিলীয় ঐতিহ্যের সাম্বা ফুটবলকেই ভালোবাসি। ব্রাজিল টিম হিসেবেই খেলে, যেকোনো ব্যক্তিগত ক্যারিশমা এই দলের একটা হালকা উপলক্ষ মাত্র। চার বছর পরপর ফুটবল বিশ্বকাপ ফিরে আসে গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ আখ্যা নিয়ে। তবে ইদানীং খেলাধুলার মূল স্পিরিট অভদ্র লেভেলের তর্কে পৌঁছে গেছে। সমর্থকদের আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে প্রতি মুহূর্তে স্পোর্টিং স্পিরিট নিহত হচ্ছে। অথচ বিশ্বভ্রাতৃত্বের সিম্বলিক যথার্থতা খোঁজা হয় বিশ্বসেরা এসব টুর্নামেন্টে। আসুন, বিনোদিত হই, খেলাকে খেলা হিসেবেই নিই, অনেক কাহিনিতে জর্জরিত বিশ্বে একটু আনন্দিত থাকি। স্মার্ট সমর্থক হিসেবে অন্য দলের সমর্থকদেরও সম্মান দিন।
চঞ্চল চৌধুরী
এখন ব্যস্ততার জন্য খেলাটা সেভাবে দেখা হয় না। আমার ছেলে খেলা দেখে। বাসায় ফেরার পর ওর কাছ থেকে সব শুনে নিই। তবে অবসর পেলে খেলা দেখি। ১৯৮৬ সালের মেক্সিকো বিশ্বকাপে আমি ম্যারাডোনার ভক্ত বনে যাই। তাঁর জাদুকরি খেলায় মুগ্ধ হয়েই আমি আর্জেন্টিনা দলের সমর্থক। গ্রামে তো তখন বিদ্যুৎ ছিল না। আমাদের পুরো গ্রামে মাত্র দুটি সাদাকালো টেলিভিশন ছিল। চলত ব্যাটারির সাহায্যে। যেদিন অনেক রাতে খেলা থাকত, সেদিন অনেকটা পিকনিক পিকনিক ভাব থাকত। এখন তো এক সাপোর্টার আরেক সাপোর্টারকে গালি দেয়। এমন কেন! প্রতিপক্ষ থাকবেই। হিংসা-বিদ্বেষ ছড়ানোর দরকার নেই। যদিও এমন চিত্র আমাদের দেশে সব ক্ষেত্রেই। এটা ঠিক নয়। আমি চাই আর্জেন্টিনা ভালো খেলুক। মেসিকেও তাঁর স্বরূপে মাঠে পেতে চাইব। মাঠে থেকে গ্যালারি মাতাতেন ম্যারাডোনা। তাঁকে এ বছর মিস করব।