দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে পানিবাহিত ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। প্রতিদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গড়ে বহির্বিভাগে ১৫-২০ জন ডায়রিয়া আক্রান্তকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধু ফুলবাড়ী নয়, বর্তমানে সারা দেশেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর খবর পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এই রোগে আক্রান্তের কারণ হতে পারে। তবে পরিচ্ছন্নতার অভাবসহ খোলা জায়গার খাদ্য খাওয়ার কারণেও ডায়রিয়া রোগী বাড়তে পারে। রোগীদের সেবা দিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসহ পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ এবং সার্বিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে চিকিৎসকরাও তৎপর। ফলে প্রথম দিকে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বাড়লেও বর্তমানে কমে এসেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অন্ত ও বহির্বিভাগে ৪৭৭ জন ডায়রিয়া রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ ১৪৩ জন, প্রাপ্ত বয়স্ক নারী ১৬৪ এবং শিশু-কিশোর ১৭০ জন রয়েছে। গত রোববার পর্যন্ত ৯ জন রোগী অন্তবিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে বেশির ভাগ নারী ও শিশু।
উপজেলার বেতদিঘি ইউনিয়নের মাদিলাহাট এলাকার পল্লি চিকিৎসক নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, প্রতিদিন গড়ে তাঁর কাছে ১০-১৫ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী আসছেন। কারও কারও অবস্থা গুরুতর না হওয়ায় তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শাকিলুর রহমান, বন্তি আফরোজ, রেবেকা সুলতানা ও রাকিবুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিদিন গড়ে ১৫-২০ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসছেন। তবে যাঁদের অবস্থা তেমন গুরুতর নয়, তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং গুরুতর রোগীদের অন্তবিভাগে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে কমবেশি সব বয়সের লোকই আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে নারী ও শিশুর সংখ্যা বেশি। পাশাপাশি বয়স্করাও রয়েছেন।
তাঁরা আরও বলেন, এটি একটি পানিবাহিত রোগ। ধারণা করা হচ্ছে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাব ও খোলা জায়গার খাবার খাওয়ার জন্য ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে।