ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের খাগাতুয়া গ্রামের দুস্থ ও অসহায় নারীদের ভিজিডি কার্ডের চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন খাগাতুয়া গ্রামের জুমা আক্তার নামের ভুক্তভোগী নারী। অভিযুক্ত গোলাম মোস্তফা মারুফ উপজেলার ২১ নম্বর রতনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান।
লিখিত অভিযোগ ও সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে দুই বছর মেয়াদে ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি) উপকারভোগীদের মধ্যে মাসে ৩০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এটি গ্রামীণ দুস্থ নারীদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে বাস্তবায়িত সামাজিক নিরাপত্তামূলক একটি কার্যক্রম, যা সম্পূর্ণরূপে দুস্থ পরিবার বিশেষত নারীদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে। যার মাধ্যমে ভিজিডি কার্ডধারী উপকারভোগী নারীদের প্রতি মাসে ৩০ কেজি প্যাকেটজাত খাদ্য (চাল) সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এই চাল দেওয়া শুরু হয়। কিন্তু দুইজন নারীর নামে কার্ড থাকলেও গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ৩০ কেজি করে চাল তুলে ইউপি চেয়ারম্যান তা আত্মসাৎ করছেন।
ভুক্তভোগী জুমা আক্তার বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যানকে অনেকবার অনুরোধ করেছি, চাল না দিলে আমার পরিবারের মানুষ অনাহারে দিন যাপন করে। কিন্তু তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে আর চাল দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। আমার মতো আরও অনেকেরই চাল দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।’
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা মারুফ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, খাগাতুয়া গ্রামে একটি হত্যাকে কেন্দ্র করে তাঁরা গ্রামে বসবাস করেন না। বিতরণের সময় তাঁদের না পেয়ে দুই মাস চালগুলো পরিষদে রাখা হয়েছিল। কিন্তু একপর্যায়ে চালগুলো নষ্ট হয়ে যায়। অনেক খোঁজ নিয়েও তাঁদের না পেয়ে অন্য অসহায়দের মাঝে চালগুলো বিতরণ করা হয়। যদি তাঁরা এলাকায় এসে থাকেন, তাহলে তাঁদের চাল তাঁরা পাবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।