চৌগাছায় স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সবজির সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও, বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। পাইকারি বাজারের চেয়ে খুচরা বাজারে প্রায় প্রতিটি সবজিই দুই–আড়াই গুণ দামে বিক্রি হচ্ছে।
পাইকারির চেয়ে খুচরায় সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে পটোল। প্রতি কেজি খুচরা ৬০–৬৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। অথচ পাশেই পাইকারি বাজারে এর দাম রয়েছে ৩৮–৪০ টাকা কেজি। যদিও এখন চৌগাছায় খেত থেকে পটোল তোলার ভরা মৌসুম চলছে।
গতকাল বুধবার উপজেলা সদরের বড় পাইকারি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয় ভাতি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১৮–২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪৫–৫০, স্থানীয় আলু ১২–১৫, পটোল ৩৮–৪০, কচুর লতি ৪২–৫৪, বাঁধাকপি প্রতিটি ১৫–১৮, লাউ মাঝারি আকারের প্রতিটি ৩০–৩৫, উচ্ছে ৪০–৪৫, শসা ২২–২৫, গাজর ১২–১৩, মেটে আলু ৪৬–৪৮ টমেটো ১৮–২০, বেগুন ২৫–৩০, নতুন রসুন ২৫–২৭, পেঁপে ১৩–১৫, লাল শাক প্রতি আঁটি ৩, পুঁই শাক ১০, সবুজ ডাঁটা শাক ৮–১০, পুঁইশাকের ফুল (মেচড়ি) ৩০–৩২, ঢ্যাঁড়স ৪০–৪৫, পুঁই শাকের পাকা ফল ৮৫–৯০, শিমের বিচি ৫০–৬০, কদমে ২০–২৫, কাঁচকলা ১৮–২০ টাকা, মিষ্টি আলু ২০–২৫ টাকা, শজনে ডাঁটা ৯০–১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।
তবে খুচরা বাজারগুলোতে এই সবজিরই মূল্য দুই–আড়াই গুণ বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। শাহাদৎ পাইলট বিদ্যালয় মাঠের বড় পাইকারি কাঁচাবাজারের মধ্যেই খুচরা বাজার, শহরের মূল খুচরা কাঁচা বাজার, মৃধাপাড়া মহিলা কলেজ–সংলগ্ন কাঁচা বাজার ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়–সংলগ্ন কাঁচাবাজার ঘুরে চড়া দামে সবজি বিক্রি দেখা গেছে।
কাঁচা বাজারের মধ্যেই খুচরা বাজার এবং ২০০ মিটার দূরের অন্য খুচরা বাজারে স্থানীয় ভাতি পেঁয়াজ ৩৮–৩৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬৫–৭০, স্থানীয় আলু ১৮–২২, পটোল ৬০–৬৫, কচুর লতি ৬০–৭০, বাঁধাকপি প্রতিটি ২০–২৫, লাউ মাঝারি আকারের প্রতিটি ৪০–৪৫, উচ্ছে ৮০–৮৫, শসা ৪০–৪৫, গাজর ২০–২৩, মেটে আলু ৬০–৬৫ টমেটো ৩০–৩২, বেগুন ৪০–৫০, নতুন রসুন ৪০–৪৫, পেঁপে ২০–২৫, লাল শাক প্রতি আঁটি ১০, ডাঁটা শাক ১৫–২০, পুঁই শাক ১৫–২০, পুঁই শাকের ফুল (মেচড়ি) ৩৫–৪০, ঢ্যাঁড়স ৭০–৭৫, পুঁই শাকের পাকা ফল ১০০–১১০, শিমের বিচি ৭৫–৮০, কদমে ৩০–৩৫, কাঁচকলা ২৫–৩৯ টাকা, মিষ্টি আলু ৩৫–৪০, শজনে ডাঁটা ১২০–১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সরেজমিন বাজার ঘুরে দেখা যায়, অন্তত ১২টি ট্রাকে পটোল, বেগুন ও পেঁপে তোলা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে নেওয়ার জন্য। ব্যবসায়ীরা জানান, আরও ১০ থেকে ১২ ট্রাক সবজি বোঝাই করে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেছে।
খুচরা বাজারের ক্রেতা মনিরুজ্জামান মিলন বলেন, ‘সবজির বাজার একেবারেই নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। রোজা না আসতেই বেগুন, পটোল, পাকা কলার দাম বাড়তে শুরু করেছে।’
চৌগাছা পাইকারি কাঁচা বাজারের আড়তদার (ব্যবসায়ী) মুকুল হোসেন বলেন, ‘বাজারে পটোল বেগুনের সরবরাহ পর্যাপ্ত হলেও দাম বেশি। অন্য বছর এ সময়ের চেয়ে এবার পটোল, বেগুন ও পাকা কলার দাম বেশি।’