পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় পরীক্ষামূলকভাবে অনেক চা বাগানে সাথি ফসল হিসেবে আম গাছ লাগানো হয়েছে। এতে ভালো ফলন হওয়ায় অতিরিক্ত লাভের আশা করছেন চাষিরা। তবে চা বোর্ড জানায় চা বাগানে বড় পাতার গাছ থাকলে চা উৎপাদন কমে যেতে পারে।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী আনিসুর রহমান জানান, তিনি ২০ একর জমিতে চা বাগান গড়ে তুলেছেন। তিনি চা বাগানে ৩ হাজার দেশি-বিদেশি জাতের আমের চারা লাগিয়েছেন। প্রথম বছরেই আম গাছে মুকুল আসে। বর্তমানে প্রতিটি গাছ ১৫ থেকে ২০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়েছে। এ বছর গাছে প্রচুর ফলন এসেছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমের আশাতীত ফলন পাবেন বলে মনে করেন তিনি।
কাজী আনিসুরকে অনুসরণ করে তেঁতুলিয়া সদরের কাজী মশিউর রহমান, কাজী মাহবুবুর রহমান, কাপড় ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ সহ বেশ কিছু চা বাগানি চায়ের বাগানে আমের চাষ শুরু করেছে। এ বছর তাঁদের বাগানে ২০ হাজার আমের চারা রোপণ করা হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে স্বল্প সময়ে চায়ের সঙ্গে এই আমের বাগান ফলপ্রসূ হওয়ায় এর পরিধি আরও বাড়বে বলে তাঁরা জানান।
বাংলাদেশ চা বোর্ড পঞ্চগড়ের আঞ্চলিক কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামীম আল মামুন বলেন, ‘বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চা চাষ করতে গিয়ে বাগানে যে আলোর প্রয়োজন তা মেটানোর জন্য আমরা চাষিদের কড়ই, অথবা নিম গাছ শেড ট্রি হিসেবে ব্যবহারের পরামর্শ দিই। চা বাগানে অন্য ভারী পাতার কোনো গাছ থাকলে পোকামাকড়ের প্রকোপ বেড়ে গিয়ে বাগানে আলোর অভাব দেখা দেয়। এতে ফলন কমে আসে। নিয়মিত পরিচর্যা ও কীটনাশক ব্যবহার করলে ঝুঁকি কম থাকবে।’