হোম > ছাপা সংস্করণ

ধর্মনিরপেক্ষতার সংকটে ভারত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারত ১৯৭৬ সাল থেকে সাংবিধানিকভাবে একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। তাই, বহু ভাষা-বর্ণ-ধর্মের দেশটির কোনো রাষ্ট্রধর্ম নেই। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্বে ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে যা বোঝায়, তার কতটা ভারত বা পশ্চিমা বিশ্বের বাইরের দেশগুলোয় রয়েছে, তা প্রশ্ন সাপেক্ষ। ভারতে হিজাব ইস্যুতে চলমান বিতর্কে এ প্রশ্ন ঘুরেফিরে আসছে।

সাধারণভাবে বলতে গেলে, ইউরোপে সেক্যুলারিজম বা ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে আলোচনা শুরু হয় অষ্টাদশ শতকে, যা এনলাইটেন্টমেন্ট বা আলোকায়নের যুগ নামে পরিচিত। তবে ঊনবিংশ শতক থেকে এ বিষয়ক আলোচনা যুক্তরাজ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পায়। এর মর্ম কথা ছিল, রাষ্ট্র ও ধর্মকে আলাদা করতে হবে।

ইউরোপীয় পণ্ডিতেরা ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে বোঝাতে চাইতেন, রাষ্ট্রের নীতি বা সিদ্ধান্ত ধর্মের আলোকে প্রণয়ন করা হবে না। রাষ্ট্র চলবে বাস্তব সমস্যা, জ্ঞান-বিজ্ঞানের আলোকে। তবে কারও ধর্ম পালনে রাষ্ট্র বাধা দেবে না। ধর্ম পালনে কাউকে বাধা দেওয়া হলে রাষ্ট্র তা সমাধান করবে। অনুরূপভাবে ধর্ম পালন না করার কারণে কাউকে ভয় দেখানো হলে, তাও সমাধান করবে রাষ্ট্র তথা সংবিধান।

ভারতের অনলাইনভিত্তিক গণমাধ্যম দ্য প্রিন্টের এ বিশ্লেষণে এসব বিষয় নিয়ে কিছুটা আলোচনা করা হয়েছে। এতে বলা হয়, ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতা বলে মনে করা হয়, সব ধর্মের সমান মর্যাদা, যা ধর্মনিরপেক্ষতার মূল সুরের সঙ্গে মেলে না। কারণ, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে ধর্মকে ব্যক্তিগত বিষয় হিসেবে দেখা হয়, তাতে ধর্মহীনদের অধিকারও সমানভাবে রক্ষা পায়।

সাংবিধানিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষ হওয়া সত্ত্বেও ভারতের প্রায় সব রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান শুরু বা শেষ করা হয় ধর্মীয়ভাবে। এর যুক্তি, যে দেশের জনসংখ্যার প্রায় ৭৮ শতাংশ হিন্দু, সেখানে এটাই স্বাভাবিক। আর এই ধারণাটাকে বলা হয় মেজরিটারিয়ানিজম বা সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদ। এটা আধুনিক রাষ্ট্র ধারণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কারণ, প্রত্যেক নাগরিকের সঙ্গে সমান বা নিরপেক্ষ আচরণ করার জন্যই রাষ্ট্রের জন্ম।

দ্য প্রিন্টের বিশ্লেষণে বলা হয়, কোনো রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান শুরুর আগে যখন গণেশের বা সরস্বতীর বন্দনা করা হয়, তাকে স্বাভাবিক বলে ধরে নেওয়া হয়। কোনো ফ্লাইওভার কী যুদ্ধবিমান উদ্বোধনের সময় বিশুদ্ধতার বা শুভকামনার নিদর্শন হিসেবে নারিকেল ভাঙা হয়। এসব কিছুর মধ্য দিয়ে ধর্মকে সাংস্কৃতিকভাবে রাজনীতিতে বা রাষ্ট্রে টেনে আনা হয়। এসব বিষয় যখন ভোটের রাজনীতির কারণে প্রশ্রয় পেতে থাকে, তা একসময় অন্য মাত্রা তৈরি করে রাষ্ট্র বা সমাজকে ধীরে ধীরে বিভাজনের দিকে নিয়ে যায়।

পশ্চিমা বিশ্বের ধর্মনিরপেক্ষ দেশগুলোয়ও সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদের শাসন থেকে মুক্ত নয়। ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশে ভোটের রাজনীতির জন্য বোরকা-হিজাব নিয়ে মাঝেমধ্যে তর্ক ওঠে। কিন্তু ওই সব দেশে বিচার, শাসন ও আইন বিভাগসহ নীতিমালা প্রণয়নসংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান, গবেষণা সংস্থা বা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনেক বেশি স্বাধীন।

কিন্তু ভারতে রাজনীতির পতনের সঙ্গে সঙ্গে ওই সব প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতা সীমিত হয়ে আসছে। ফলে রাজনীতি বা সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদকে প্রশ্ন করার মতো আশ্রয়গুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগের।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন