গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
দুই সহপাঠী মাজহারুল কবীর ও মালেক শিকদার। পড়াশোনা করতেন ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। মালেক লেখাপড়ার পাশাপাশি তাঁর গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে ড্রাগন ফলের চাষ করতেন। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় মাতলেই প্রায় সময় মালেক নিজের ড্রাগন ফলের বাগানের গল্প শোনাতেন। বন্ধুর মুখে গল্প শুনে ড্রাগন চাষে উদ্বুদ্ধ হন মাজহারুল। তিনি গ্রামের বাড়িতে ড্রাগন চাষ করে বছরে প্রায় ৪ লাখ টাকা আয় করছেন।
জানা গেছে, মাজহারুল ৪৫ শতক পরিত্যক্ত জমিতে শুরু করেন ড্রাগন চাষ। চারা রোপণের ১১ মাসের মধ্যেই গাছে ফলন আসে। প্রথম দফায় ফল বিক্রি করে পান দেড় লাখ টাকা। তাঁর ড্রাগনবাগানে এখন ১ হাজার ড্রাগনগাছ রয়েছে। এই ফল বিক্রি করে বছরে পাচ্ছেন প্রায় ৪ লাখ টাকা। মাজহারুল কবীর ড্রাগন ফল চাষের পাশাপাশি ড্রাগনের চারাও উৎপাদন করছেন। তাঁর কাছ থেকে অনেকে বাসাবাড়িতে লাগানোর জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ড্রাগনের চারা।
মাজহারুলের বাড়ি রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়নের বাবুপাড়া গ্রামে। তিনি ঢাকার স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন। মাজহারুল শুধু ড্রাগন চাষই করেন না, এর পাশাপাশি পোলট্রি মুরগিও পালন করেন। সেখান থেকেও বছরে প্রায় দুই লাখ টাকা আয় হয়।
মাজহারুল কবীর বলেন, লেখাপড়া শেষে চাকরির পিছে না ছুটে বন্ধুর অনুপ্রেরণায় ও বড় ভাইয়ের সহযোগিতায় ২০২০ সালে নিজ উদ্যোগে তৈরি করেছি ড্রাগনবাগান ও পোলট্রি মুরগির খামার। আমাকে দেখে অন্যরাও উৎসাহ পাচ্ছেন।