Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

শীর্ষ পদ শূন্য বদরগঞ্জ প্রশাসনে স্থবিরতা

আশরাফুল আলম, বদরগঞ্জ

শীর্ষ পদ শূন্য বদরগঞ্জ প্রশাসনে স্থবিরতা

বদরগঞ্জে তিন মাস ধরে ফাঁকা পড়ে আছে প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তি হিসেবে কাজ করা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) পদ। সেই সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত ইউএনওর দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেহেন্নুমা তারান্নুমও আছেন এক মাসের ছুটিতে।

এমন অবস্থায় উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অফিস করছেন তাঁদের ইচ্ছেমতো। ফলে সেবা নিতে আসা মানুষ প্রতিনিয়ত নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, উপজেলার প্রাণ হলেন ইউএনও। সেই ইউএনও বদরগঞ্জে নেই তিন মাস ধরে। ছুটিতে গেছেন সহকারী কমিশনার বা এসিল্যান্ডও। গুরুত্বপূর্ণ একটি উপজেলার সরকারি অফিসগুলো তো এভাবে দিনের পর দিন চলতে পারে না।

বদরগঞ্জ উপজেলার রুটিন দায়িত্ব নিয়েছেন তারাগঞ্জের ইউএনও আমিনুল ইসলাম। জরুরি ফাইলপত্রে তাঁর স্বাক্ষর নিতে যেতে হয় তারাগঞ্জে।

ইউএনওর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগের ইউএনও মো. মেহেদী হাসান গত ৫ আগস্ট পদোন্নতি পেয়ে দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হিসেবে যোগদান করেন। তখন ভারপ্রাপ্ত ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব বুঝে নেন এসিল্যান্ড রেহেন্নুমা তারান্নুম। তিনি গত ১০ অক্টোবর এক মাসের ছুটি নিয়ে দেশের বাইরে গেছেন।

ইউএনও মেহেদী উপজেলা থেকে চলে যাওয়ার পর থেকে তাঁর কার্যালয়ের কর্মচারীরা বেতনভাতা তুলতে না পেরে কষ্টে দিনপাত করছেন। একজন কর্মচারী বলেন, ‘আমার পরিবার চলে বেতনের টাকায়। মাসের বাজার-খরচ করি বাকিতে। মাস শেষে বেতনভাতা তুলে দোকানের পাওনা পরিশোধ করি। কিন্তু ইউএনও স্যার না থাকায় তিন মাস ধরে বেতনভাতা তুলতে পারছি না। ফলে দোকানদারেরাও আর বাকিতে পণ্য দিচ্ছেন না। এখন বেতনের চেক বন্ধক রাখার ছাড়া আর কোনো পথ দেখছি না।’

এদিকে ইউএনও ও এসিল্যান্ড না থাকায় বদরগঞ্জে ১০ অক্টোবর থেকে জমির নামজারি হচ্ছে না। উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাওছার বলেন, ‘অনেকেই জমির নামজারি করতে আবেদন করেছেন। কিন্তু ইউএনও এবং এসিল্যান্ড স্যার না থাকায় শুনানি হচ্ছে না।’

একই কার্যালয়ের সার্ভেয়ার সাবিনা ইয়াছমিন বলেন, ‘যেকোনো ফাইলপত্রে ইউএনওর স্বাক্ষর নিতে অফিস ছেড়ে যেতে হচ্ছে তারাগঞ্জে। সেখানে গেলে অফিসের আর কোনো কাজই হয় না।’

একই সমস্যার কথা জানান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) বাবুল চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘আমার অফিসের সব কাজেই ইউএনওর স্বাক্ষর লাগে। ইউএনও ছাড়া কোনো কাজ হয় না। তাই এ উপজেলায় পারমানেন্ট ইউএনও থাকা জরুরি।’

যোগাযোগ করা হলে তারাগঞ্জের ইউএনও আমিনুল বলেন, ‘আমি বদরগঞ্জে রুটিন দায়িত্বে আছি। আইবাস (বেতনভাতা পরিশোধের সফটওয়ার) সমস্যার কারণে কর্মচারীরা বেতনভাতা পাননি। এ সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। দু-এক দিনের মধ্যে তাঁরা বেতনভাতা পাবেন। আর ১১ অক্টোবর এসিল্যান্ড আসলে অন্যান্য সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, ‘ওই উপজেলায় ইউএনও দেওয়ার জন্য বিভাগীয় কমিশনার স্যারকে জানিয়েছি। কিন্তু তিনি ইউএনও না পাওয়ায় বদরগঞ্জে দিতে পারছেন না।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ