উপসাগরীয় অঞ্চলের ছোট্ট দেশ কাতার ভূরাজনীতি ও ভূঅর্থনীতিতে ইতিমধ্যে নিজেদের গুরুত্ব প্রমাণ করেছে। ইউক্রেন সংকটকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের সেই অবস্থান আরও সংহত করতে চেষ্টা করছে জ্বালানি সমৃদ্ধ দেশটি। কিন্তু আন্তর্জাতিক রাজনীতির মারপ্যাঁচে গা বাঁচিয়ে চলমান সংকট থেকে দেশটি কতটা স্বার্থ রক্ষা করতে পারবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
ইউরোপ বিশেষত জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স মোটাদাগে রাশিয়ার জ্বালানি তেল ও গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। যুদ্ধ শুরুর পর রুশ জ্বালানির নির্ভরতা কমাতে কাতারের দ্বারস্থ হয়েছে দেশগুলো। কাতারও তাদের কিছুটা আশ্বাস দিয়েছে।
কিন্তু পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়তে থাকা জ্বালানির দাম কমাতে এখনো বিকল্প পাওয়া যায়নি। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের তেল উত্তোলনের পরিমাণ বাড়ানোর অনুরোধ ইতিমধ্যে বাতিল করে দিয়েছে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। অর্থাৎ ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের উপসাগরীয় মিত্রদের মধ্যে বিভক্তি বাড়ছে।
এ অবস্থায় অনেকটা চূড়ান্ত হয়েও প্রায় ভেস্তে যাওয়া ইরান পরমাণু চুক্তি কক্ষপথে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে কাতার। গত সোমবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মদ বিন আবদুর রহমান মস্কোয় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভে সঙ্গে বৈঠক করেন। মস্কো যাওয়ার আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপ হয়। এর পর লাভরভের সঙ্গে মস্কোয় দেখা করেন। এসব বৈঠকের পর চুক্তিটি সই হওয়ার সম্ভাবনা প্রাণ ফিরে পেয়েছে।