হোম > ছাপা সংস্করণ

চট্টগ্রামে রমরমা মাদক কারবারে ঢাল নারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানা এলাকার বাড়ইপাড়ার সাদিয়া বেগম। ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান। কিছুদিন পর জামিনে বেরিয়ে এসে তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। এখন তিনি নিজ এলাকায় হোসেন কলোনিতে একটি মাদকের স্পট চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সাদিয়ার মতো নগরের অধিকাংশ মাদক স্পট এখন সরাসরি নারীরা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এসব নারীর কেউ কেউ দুই ডজন মামলার আসামিও।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাদক কারবারিরা কারবার টিকিয়ে রাখতে নারীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছেন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, নগরে ৪১ জন শীর্ষ নারী মাদক কারবারির মধ্যে একজন হলেন সাদিয়া। তাঁর নামে মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে। চান্দগাঁও থানাধীন বাড়ইপাড়ার ‘হোসেন কলোনি’র মাদক স্পটের নিয়ন্ত্রণ তাঁর হাতে।

স্থানীয় বাড়ইপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ হাসান বলেন, এখানে দিনদুপুরে ইয়াবার পাশাপাশি গাঁজা বিক্রি হয়। পুরো স্পট নিয়ন্ত্রণ করছেন সাদিয়া। তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছেন তাঁর স্বামী শাকিল।

হাসান আরও বলেন, ‘প্রকাশ্যে মাদক কারবার চললেও গত দেড় বছরে এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান দেখিনি।’ 
বাড়ইপাড়া এলাকার পাশাপাশি বহদ্দারহাট, চেয়ারম্যান ঘাটা, কাঁচাবাজার, ঘাসিয়াপাড়াকেন্দ্রিক মাদকের বিস্তার এতটা ভয়াবহ পর্যায়ে এসে ঠেকেছে, কিশোর-তরুণদের বিশাল একটি অংশ মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে।

চট্টগ্রামে গোয়ালপাড়া চিহ্নিত একটি মাদকের স্পট চালাচ্ছেন আরেক শীর্ষ কারবারি আকলিমা। তাঁর নামে রয়েছে ১৮টির বেশি মামলা। এ পর্যন্ত জেলে গেছেন ২১ বার। অন্য শীর্ষ নারী মাদক কারবারি ও স্পট নিয়ন্ত্রকের মধ্যে রয়েছে জুলেখা, সানজিদা, রোজিনা, আয়েশা, রাজিয়া, দেলোয়ারা, পারভীন, ফাতেমা, পাখি, রহিমা, বীথি, রেহানা, খাদিজা, বেবি প্রমুখ।

জানা গেছে, নগরীতে বর্তমানে মাদকের দুই শতাধিক চিহ্নিত স্পট রয়েছে। এর অধিকাংশই নারীদের নিয়ন্ত্রণে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর জোনের উপপরিচালক হুমায়ন কবির খন্দকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাদকের স্পটগুলোয় নারীদের সাধারণত সরাসরি খুচরা বিক্রির কাজে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

আড়ালে থেকে মূলত মাদক কারবারিরাই মূল নিয়ন্ত্রণ করছেন। দারিদ্র্য, অসহায়ত্বসহ নানা সুযোগ নিয়ে নারীদের এ কাজে জড়ানো হচ্ছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ক্রিমিনোলোজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নারীদের নিয়ে একটা সহানুভূতি কাজ করে থাকে। মূলত এ কারণে নারীদের ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করেন মাদক কারবারিরা।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন