পাইকগাছায় আঁখি নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ দেখে স্বামী শিহাব গাজীও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে জানা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার পৌর সদরের পুরোনো গোডাউন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের দাবি আঁখি গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে পুলিশ বলছে এ মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
আঁখির স্বামী শিহাব গাজী বলেন, ‘গত সোমবার গাড়ির ডিউটি করে রাত ১০টার দিকে বাড়িতে আসি। তখন আমার স্ত্রী তাঁর বাবার বাড়ি বাগেরহাট কাঁটাখালী যাওয়ার বায়না ধরে। আমি তাঁকে বলি সকালে নিয়ে যাব। সে আমার কথা না শুনে ঝগড়া শুরু করে। একপর্যায়ে আমাদের বিয়ের কাবিন আঁখি ছিঁড়ে ফেলে। পরে রাগ করে ছেঁড়া কাবিন আমি আবার ছিঁড়ে ফেলি। এরপর রাত ১২টার দিকে দুজন শুয়ে পড়ি।’
শিহাব গাজী আরও বলেন, ‘এরপর ভোর ৫টার দিকে উঠে দেখি সে আমার পাশে নেই। ঘরের আড়ায় ওড়না প্যাঁচানো লাশ ঝুলছে। এ দেখে আমিও গলায় রশি দিয়ে আড়ার সঙ্গে ঝুলে পড়ি। তখন আমার নানির ডাক চিৎকারে এলাকার মানুষ আমাকে নামায়।’
শিহাব গাজীর নানি সুপিয়া বেগম জানান, ‘তাঁরা নিজেরাই পছন্দ করে গত ৩ মাস আগে বিয়ে করে। ভালোভাবেই সব চলছিল। হঠাৎ কি নিয়ে এমনটা হলো তা বুঝতে পারছি না।’
আঁখির বাবা মো. জহিরুল ইসলাম ও মাতা মরিয়ম খাতুন বলেন, ‘আমাদের মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। আমরা এর বিচার চাই।’
মামলার তদন্তকরী কর্মকর্তা উপপুলিশ পরিদর্শক আসাদ বলেন, ‘ মৃত্যু নিয়ে রহস্য রয়েছে। এ কারণে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’