খুলনার ফুলতলা সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে ২ হাজার কেজি চাল চুরির অভিযোগে গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসানকে মহেশ্বরপাশা খাদ্যগুদামে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে এখনো কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ নভেম্বর ফুলতলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসানের নির্দেশে ২ হাজার কেজি চাল বিক্রির পর নওয়াপাড়ায় ক্রেতা আল আমিনের গুদামে পৌঁছাতে গিয়ে যুগ্নিপাশা এলাকায় চাল ভর্তি নছিমনসহ চালক শহিদুল জমাদ্দার জনতার হাতে আটক হন।
খবর পেয়ে ফুলতলা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নছিমনসহ চাল জব্দ ও চালক শহিদুলকে আটক করে। পরে এসআই জাকির শিকদার বাদী হয়ে শহিদুল জমাদ্দার, গুদাম শ্রমিক আয়ুবআলী ও নওয়াপাড়ার চাল ব্যবসায়ী আল আমিনসহ অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
এ ঘটনায় খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. বাবুল হোসেনের নির্দেশে জেলা সহকারী খাদ্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলামকে প্রধান এবং কারিগরি পরিদর্শক মো. নোমান ও ফুলতলা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ মিজানুর রহমানকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।
তদন্ত কমিটি খাদ্য গুদামের বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চাল বিক্রির ঘটনাটি নিশ্চিত হন। কমিটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত গুদাম কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান, নিরাপত্তা কর্মী আমিনুল ইসলাম, মোজাম্মেল হোসেন, জাকারিয়া ও শ্রমিক সরদার আবদুল মান্নানের সংশ্লিষ্টতা উল্লেখ এবং তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তদন্ত প্রতিবেদনে মহাপরিচালকের নিকট সুপারিশ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন জানান, তদন্ত শেষে প্রতিবেদনটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের আদেশ পেলেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।