মির্জাপুরে শ্বশুরের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জাল করে টাকা উত্তোলনে ব্যর্থ হয়ে মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার মির্জাপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন পুত্রবধূ তছলিমা আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তছলিমা আক্তার বলেন, ২২ বছর আগে উপজেলার গোড়াই সোহাগপাড়া গ্রামের আন্তু মিয়ার ছেলে আব্দুল বাছেদের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। আন্তু মিয়া পেশায় চায়ের দোকানদার। তিন বছর আগে তাঁর শাশুড়ি মারা যাওয়ার পর শ্বশুর দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর সৎশাশুড়ির আত্মীয়স্বজন তছলিমা ও তাঁর স্বামীর সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ শুরু করেন। একপর্যায়ে আন্তু মিয়া দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা হয়ে যান। এরপর বাড়ির সামনের অংশ থেকে জমি লিখে দিতে তছলিমার স্বামী বাছেদকে ক্রমাগত চাপ দেওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে ভয়ভীতি দেখানো ও মামলার হুমকি দেওয়া হয়। পরে গত ২০২১ সালের ২২ জুলাই তছলিমা জানতে পারেন, শ্বশুর আন্তু মিয়া তাঁর নামে ৪০ লাখ টাকার চেক ডিজঅনার মামলা করেন।
এ সময় তছলিমা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই চেকে তিনি স্বাক্ষর করেননি। চেক বইটি চুরি করে স্বাক্ষর জাল করা হয়। পরে এনআরবিসি ব্যাংক গোড়াই শাখায় গচ্ছিত টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে টাঙ্গাইল কোর্টে মিথ্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় একাধিকবার সালিস বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তাতে কোনো সুরাহা হয়নি বলে তছলিমা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তছলিমার স্বামী আব্দুল বাছেদ, সোহাগপাড়া গ্রামের আফাজ উদ্দিন, সুরপান আলী, লিয়াকত আলী, মজনু মিয়া, শুকুর আলী ও গোড়াই কোদালকাটা গ্রামের মাহমুদুল হাসান টিটু উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে তছলিমার শ্বশুর আন্তু মিয়া মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমার ছেলে বাছেদ জমি কেনার কথা বলে আমার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ধার নিয়েছিল। টাকা ফেরত চাইলে ছেলের বউ ৪০ লাখ টাকার একটি চেক দেয়। ব্যাংকে গেলে অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকায় চেকটি ডিজঅনার হয়। এ জন্যই আমি মামলা করেছি।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এনআরবিসি ব্যাংক গোড়াই শাখার ব্যবস্থাপক হারুন অর রশিদ বলেন, ‘চেক ডিজঅনারের দিন আমি অফিসে ছিলাম না। বিষয়টি পরে জেনেছি। ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী কোনো চেক |এলেই প্রথমে দেখা হয়, চেকে উল্লেখিত টাকা অ্যাকাউন্টে আছে কি না। চেকে উল্লেখিত টাকা অ্যাকাউন্টে না থাকায় চেকটি ডিজঅনার করা হয়েছে।’