দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠছে মাল্টার বাগান। ফলন ভালো হওয়ায় মাল্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে স্থানীয় চাষিদের। আগামী দিনে তাঁদের কাছে মাল্টা হয়ে উঠতে পারে আশা-জাগানিয়া ফসল—বলছে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাল্টার বাগান গড়ে উঠেছে। গত কয়েক বছরে উপজেলায় ছোট বড় ৬০ টির বেশি মাল্টার বাগান গড়ে উঠেছে। এসব বাগানে অনেক বেকারদের কর্মস্থান হয়েছে। তা ছাড়া বাজারে মাল্টার দাম ও চাহিদা দুই ভালো। তাই চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। তাই মাল্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে স্থানীয় চাষিদের মধ্যে।
বিরামপুর পৌর শহরে টাটকপুর গ্রামের তাবরীজ মণ্ডল বলেন, ‘করোনা মহামারিতে যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়, তখন বসে না থেকে বাড়ির পাশের এক একর জমিতে মাল্টার চাষ শুরু করি। এখন আমার বাগানে মাল্টাসহ ভিন্ন জাতের কমলা, তিনফল, আম, আখ, লেবু এবং মিয়াজাকি আমের গাছ রয়েছে। অনেকেই দূর দুরান্ত খামারটি দেখতে আসেন।’
মণ্ডল এগ্রো ফার্মের মালিক মো. আসাদুজ্জামান মুক্তা বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে উন্নত জাতের মালটা ও কমলা চারা সংগ্রহ করে এই খামার গড়ে তুলেছি। এখানে ৫ থেকে ৬ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। ইতিমধ্যে বাগানে মাল্টা, কমলা সংগ্রহ করে বাজারজাত করছি। আমাদের বাগানের মাল্টা ও কমলার স্বাদ তুলনামূলক ভালো।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিক্সন চন্দ্র পাল বলেন, ৫ বছর আগে উপজেলায় কৃষকদের মধ্যে ফল আবাদের আগ্রহ তৈরিতে কার্যক্রম শুরু করা হয়। এই এলাকার মাটি মাল্টা চাষে উপযোগী। তাই কৃষকদের মাল্টার বাগান তৈরিতে উৎসাহিত করা শুরু হয়। এখন মাল্টা চাষের জন্য চারা ও কারিগরি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে চাষিদের। উপজেলায় বেশ কয়েকটি বড় মাল্টা বাগানের মধ্যে মণ্ডল এগ্রো ফার্মটি বেশ সাজানো গোছানো। সেখানে মাল্টা, কমলাসহ দেশি-বিদেশি উচ্চ ফলনশীল জাতের ফলদ গাছ রয়েছে। তবে মাল্টা হয়ে উঠতে পারে চাষিদের আশা-জাগানিয়া ফসল। শহরের বেশ কিছু শৌখিন চাষিও বাসার ছাদে মাল্টা ও কমলার বাগান করছেন।