হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের পাঁচ উপজেলার বিভিন্ন অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। অভিযানে ৫টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ৯টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার এসব অভিযান চালানো হয়। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর।
হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের চারটি উপজেলায় অভিযান চালিয়ে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় পাঁচটি ক্লিনিক ও সাতটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতাল পরিচালনার অনুমোদন যাচাই করতে সকাল থেকেই অভিযান চালায় মাধবপুর উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। অভিযানকালে নিবন্ধন নবায়ন না থাকায় সেবা ডায়াগনস্টিক, অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক, হক ডায়াগনস্টিক, প্রাইম হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং তিতাস শিশু জেনারেল হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া সনদসহ বৈধ কাগজপত্র না থাকায় চুনারুঘাটের এম কে হাসপাতাল, ঢাকা ডায়াগনস্টিক ও গ্রিন লাইফ ডায়াগনস্টিক এবং শায়েস্তাগঞ্জে পিপলস ও সূর্যের আলো হাসপাতাল বন্ধ করে দেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মোজাম্মেল হোসেন। এ সময় সাহেদ চক্ষু হাসপাতালকে ১ মাসের সময় দিয়েছেন। অন্যদিকে বাহুবলে দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকেও সিলগালা করা হয়।
মাধবপুর: উদ্বোধনের এক দিনের ব্যবধানে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার হক ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বন্ধ করা হয়েছে আরও চারটি প্রতিষ্ঠান। স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, প্রতিষ্ঠানগুলোর নিবন্ধন না থাকায় তাদের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) শেখ মইনুল ইসলাম মঈন এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আলাউদ্দিন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক ইশতিয়াক আল মামুন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইশতিয়াক আল মামুন বলেন, উপজেলা সদরে ১৪টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন ছিল না।
শ্রীমঙ্গল: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে শ্রীমঙ্গল শহরের কালিঘাট সড়কের ইনোভা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও স্টেশন সড়কের রেটিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে বন্ধ করে সিলগালা করে দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. পার্থ সারথী সিংহ, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর বিনয় সিংহ রাউথিয়া, শ্রীমঙ্গল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ প্রমুখ।
মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দিন মোর্শেদ এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলা জুড়ে এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’