রাজশাহী ও মোহনপুর প্রতিনিধি
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ২০ জনের মধ্যে দুজনের বাড়ি রাজশাহীতে। তাঁরা হলেন ৩ নম্বর আসামি অনিক সরকার (২৪) ও ৪ নম্বর আসামি মেহেদী হাসান রবিন (২৪)। তাঁরা দুজনই আবরারকে পিটিয়ে হত্যার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন।
রায় ঘোষণার পর তাঁদের দুজনের বাড়িতে গেলে স্বজনরা এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
অনিক সরকার বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদকও ছিলেন তিনি। তাঁর গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বড়ইকুড়ি গ্রামে। অনিকের বাবা আনোয়ার হোসেন একজন ব্যবসায়ী। তাঁর মামা আল মমিন শাহ গাবরু বাকশিমইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
ভাগনের বিষয়ে কথা বলতে চেয়ারম্যান গাবরুকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। রায় ঘোষণার পর দুপুরে অনিক সরকারের বাড়ি গিয়ে শুধু তাঁর বাবা আনোয়ারকে পাওয়া গেছে। আনোয়ার বলেছেন, তিনি এখন মানসিকভাবে অসুস্থ। এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।
আরেক ফাঁসির আসামি মেহেদী হাসান রবিনের বাড়ি কাটাখালী পৌরসভার কাপাসিয়া পূর্বপাড়া মহল্লায়। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন রবিন। তাঁর বাবা মাকসুদ আলী স্থানীয় একটি স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক। রবিন বুয়েট ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তাঁর বাবা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা। দুপুরে তাঁর বাড়ি গিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিলে গেটই খোলা হচ্ছিল না। রবিনের মা রাশিদা বেগম বেরিয়ে এসে বলেন, ‘আপনি সাংবাদিক? সাংবাদিকরাই বেশি বেশি করে লিখে আমার ছেলের ফাঁসির ব্যবস্থা করেছেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা নাই।’