হোম > ছাপা সংস্করণ

সরকারি ভবনে চামড়ার গুদাম

তারিকুল ইসলাম কাজী রাকিব, পাথরঘাটা

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) বরগুনার পাথরঘাটা কার্যালয়ের সম্পত্তি দখল করে পাঁচ-ছয়টি স্থায়ী কসাইখানা গড়ে উঠেছে। কার্যালয়ের একটি পরিত্যক্ত ভবনে মজুত করা হচ্ছে কাঁচা চামড়া। এতে দুর্গন্ধে নাকাল হচ্ছে থানা-পুলিশ, আশপাশের কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা।

বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ, পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরের কাছে মৌখিক অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। তাঁদের অভিযোগ, ‘বিটিসিএল কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে কসাইয়েরা এখানে কাঁচা চামড়া মজুত করছেন।’ তবে কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজাদ বলেন, গায়ের জোরে কসাইয়েরা এখানে চামড়া মজুত করছেন।

পাথরঘাটা থানার সামনে অবস্থিত পাথরঘাটা বিটিসিএল কার্যালয় এলাকায় গত শনিবার বেলা ১১টায় দেখা যায়, কার্যালয়ের মূলক ফটক তালাবদ্ধ। যাতায়াতের সুবিধার্থে জনসাধারণ ভিন্ন পথ ব্যবহার করে ভেতরে ঢোকার সময় দুর্গন্ধে নাকে ও মুখে রুমাল চেপে ধরছেন। বিটিসিএলের একটি পরিত্যক্ত ভবনের দ্বিতীয় তলায় দেখা যায়, বিশাল স্তূপ করে কাঁচা চামড়া লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। মেঝেতে রক্তমাখা পানি। মাছি ও পোকা কিলবিল করছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মিতু, মনির হোসেন, সোহাইল, আক্তারুজ্জামান ও নাজমাসহ বেশ কয়েকজন বলেন, পাথরঘাটা থানা, জামে মসজিদ, ক্যাডেট মাদ্রাসা এবং তাসলিমা মেমোরিয়াল একাডেমির আশপাশে তাঁরা বসবাস করেন। পাথরঘাটা বিটিসিএল কার্যালয়ের দোতলায় গরুর চামড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এতে চারপাশের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। সব সময় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। এতে তাঁরা অতিষ্ঠ। এ ছাড়া সন্ধ্যায় মাদক সেবনের নিরাপদ স্থানেও পরিণত হয় জায়গাটি। এই পরিস্থিতির কারণে তাঁরা বাসা ভাড়া দিতে পারছেন না। তাঁরাও বাসা ফেলে অন্য কোথাও চলে যেতে পারছেন না। পৌরসভার মেয়র-কাউন্সিলরকে অবহিত করেও কোনো সুরাহা হয়নি।

পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার বলেন, ‘আমিসহ থানা-পুলিশের অনেক সদস্য এবং এলাকাবাসী এই চামড়ার দুর্গন্ধের ভুক্তভোগী।’

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, পাথরঘাটা বিটিসিএলের সরকারি সম্পত্তি দখল করে সড়কের পাশে পাঁচ-ছয়টি স্থায়ী কসাইখানা গড়ে উঠেছে। এসব কসাইখানার বর্জ্য আশপাশে ফেলা হয়। এতে পরিবেশ নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর হচ্ছে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত পথচারী ও শিক্ষার্থী চলাচল করে।

পাথরঘাটা বিটিসিএল কার্যালয়ের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজাদ বলেন, হালিম কসাইসহ তাঁর সহযোগীদের বারবার নিষেধ করার পরও তাঁরা ভবনের দ্বিতীয় তলায় কাঁচা চামড়া মজুত করে পরিবেশ দূষণ করে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছেন। এঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন বলেন, ‘এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। অতিশিগগির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মুহাম্মদ আল-মুজাহিদ বলেন, ‘সরকারি ভবন ও জমি দখল করে পরিবেশ দূষণ করা হচ্ছে! এটা দুঃখজনক। শিগগিরই ওখান থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। আইনগত সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন