মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় বন বিভাগের অবহেলায় সরকারি বিপুল পরিমাণ গাছ নষ্ট হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে নিলাম না হওয়ায় বেশির ভাগ গাছ শুকিয়ে মরে গেছে। সে সঙ্গে একদল লোক এসব গাছ কেটে নিচ্ছে। এ ছাড়া ব্যস্ত সড়কের ওপর মরা গাছ ঝুলে থাকায় যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার রাজকান্দি রেঞ্জের আওতায় পতনঊষার ইউনিয়নের শ্রীসূর্য্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পতনঊষার উচ্চবিদ্যালয় পর্যন্ত শমশেরনগর এয়ারপোর্ট-তারাপাশা সংযোগ সড়কের দুই পাশে ১.৫ কিলোমিটার সামাজিক বনায়নের স্ট্রিপ বাগান করা হয়। পরবর্তী সময়ে ২০১৪-১৫ সালে নিলামে গাছগুলো বিক্রি করা হয়। অর্জুন কুমার ধর নামের এক ব্যক্তি ৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকায় গাছগুলো কিনে নেন। নির্ধারিত সময়ে মূল্য পরিশোধ না করায় রাজকান্দি রেঞ্জ কর্মকর্তা আবার নিলামে গাছগুলো বিক্রি করার জন্য দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন; কিন্তু এরপর আর গাছগুলো বিক্রি হয়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাগানের প্রায় ৯০ শতাংশ গাছ শুকিয়ে মরে গেছে। অনেক গাছ ঝড়ে পড়ে গেছে, অনেক গাছ চুরি হয়ে গেছে। উপকারভোগী মো. শামিম মিয়া বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে বাবা গাছ লাগিয়ে ছিলেন। বাগানের বেশির ভাগ গাছ মারা গেছে। আমি জীবিত অবস্থায় আমার অংশের টাকা পাব কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে।’
এ বিষয়ে লটক্রেতা অর্জুন কুমার ধর বলেন, ‘বন বিভাগের দরপত্রে যে পরিমাণ কাঠের উল্লেখ রয়েছে বাস্তবে তার অর্ধেক না থাকায় আমি লট ক্রয় করিনি। আমার জামানতের টাকা ফেরত দেওয়া হোক।’
এ বিষয়ে রাজকান্দি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, জীবিত গাছের সংখ্যা উল্লেখ করে বিক্রির জন্য কয়েকবার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে; কিন্তু এই গাছ কেনার জন্য কেউ আগ্রহ প্রকাশ করেননি।