Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের রানওয়ের পাশে জলাশয় করে পাখিদের আমন্ত্রণ

আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের রানওয়ের পাশে জলাশয় করে পাখিদের আমন্ত্রণ

যেকোনো বিমানবন্দরের রানওয়ে বা আশপাশে পাখিদের আনাগোনা খুবই বিপজ্জনক। ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। কিন্তু চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সেই বিপত্তি ডেকে আনার আয়োজন চলছে।

বিমানবন্দরের রানওয়ের পাশে তৈরি করা হচ্ছে কৃত্রিম জলাশয়। সেই জলাশয়ে চাষ করা হবে মাছ। পানিতে মাছ থাকলে স্বাভাবিকভাবে সেখানে পাখির আনাগোনা শুরু হবে। এতে বিমান ওঠা-নামায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসনিম আহমেদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিমানবন্দরের রানওয়ে এলাকায় জলাশয় বানিয়ে মাছ চাষের কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা যায়, বার্ড হিট অথবা পাখির আঘাত আকাশপথে পাইলটদের কাছে চরম আতঙ্কের বিষয়। এই পাখির আঘাতে অনেক সময় উড়োজাহাজের জরুরি অবতরণ করতে হয়। বড় দুর্ঘটনার ঘটনাও ঘটেছে অতীতে। সে জন্য নিরাপদ আকাশপথের জন্য পাখিমুক্ত আকাশের কথা বলা হয়। সেখানে কোথায় পাখি তাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে, উল্টো জলাশয় স্থাপন করে বিমানবন্দর এলাকায় পাখিদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।

চট্টগ্রাম বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বিমানবন্দরের আবাসিক এলাকায় বিজিবি ও নেভাল হ্যাংগারের উত্তর পাশের দেয়াল থেকে ভিওআরের (ভয়েস ওভার রেটিং) আনসার পোস্টের পাশের রোড পর্যন্ত প্রায় তিন একর জায়গাজুড়ে এই কৃত্রিম জলাশয় স্থাপনের কাজ শেষ দিকে। এক্সকাভেটর দিয়ে সেখানে কদিন ধরে মাটি কাটার কাজ চলছে। বিমানবন্দরের প্রশাসন শাখার অফিস সহায়ক শাহ আলম ৩০ হাজার টাকায় তিন বছরের জন্য রানওয়ের পতিত জমি ইজারা নেন। সেই জমি আবার বহিরাগত পেয়ার আহম্মদ নামের একজনকে সাব-ইজারা দিয়েছেন তিনি। তিনি মাটি কেটে জলাশয় তৈরির কাজ করছেন।

জানতে চাইলে পেয়ার আহম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিমানবন্দরের কর্মী শাহ আলমের কাছ থেকে মাছ চাষের জন্য জায়গাটি ভাড়া নিয়েছেন। মাছ চাষের জন্য জলাশয় তৈরি করতে মাটি কাটা হচ্ছে। বিমানবন্দর থেকে জমি ইজারা পাওয়া শাহ আলমকে ফোন করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসনিম আহমেদ বলেন, বিমানবন্দরের জায়গা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কর্মচারীদের মধ্যে ইজারা দেওয়া হয়। কিন্তু রানওয়ে এলাকায় জলাশয় বানিয়ে মাছ চাষের কোনো সুযোগ নেই। বিমানবন্দরের মধ্যে অনুমতি ছাড়া এক্সকাভেটর ঢোকারও সুযোগ নেই। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ