চলতি বছর দুই দফা বন্যায় সুনামগঞ্জে বিভিন্ন অবকাঠামো ও সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শহরের বিভিন্ন আবাসিক এলাকার সড়কে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ। এখনো বেশির ভাগ সড়কেই যান চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। কমেনি সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ।
সুনামগঞ্জ শহরের বিভিন্ন সড়কের পিচ-খোয়া উঠে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এসব খানাখন্দ এড়িয়ে যানবাহন চলতে গিয়ে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা।শহরের নবীনগর-ধারারগাঁও প্রধান সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই অবস্থা আরও বেহাল হয়ে পড়ে। সড়কটির অধিকাংশ খানাখন্দে বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারণে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। প্রতিদিন লেগে থাকে যানজট। একদিকে ভোগান্তি, অন্যদিকে নষ্ট হচ্ছে যানবাহন।
জনবহুল ও জনবসতিপূর্ণ শহরের নবীনগর-ধারারগাঁও প্রধান সড়কটি। এই সড়কে শহরের নবীনগর, ধারারগাঁও, খাইমতর, হালুয়ারঘাট এলাকাসহ তিন ইউনিয়নের মানুষ প্রতিদিনই অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল, ক্লিনিক, হাটবাজারসহ সব জরুরি কাজে যাতায়াত করে। কিন্তু পানির প্রবল স্রোতে ভেঙে যায় সড়কটি।
অন্যদিকে শহরের ষোলঘর পয়েন্টে দেখা দিয়েছে বড় ধরনের ভাঙন। এই স্থানে প্রতিদিনই কোনো না কোনো দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে ছোট ছোট যানবাহন। রিকশাচালক মনির মিয়া বলেন, ‘শহরের কয়টা জাগাত বেসাবা ভাঙা। রিকশার যেমন ক্ষতি হইতাছে, তেমনি আমাদের যাত্রীরাও খুব কষ্ট হইতাছে।’
শহরের বাসিন্দা রিপন আহমদ বলেন, ‘আমরা প্রতিদিনই এই সড়ক দিয়ে চলাচল করি। বিশেষ করে বৃষ্টি হইলে তো আরও নাজেহাল অবস্থার মধ্যে পড়তে হয়।’ পৌর এলাকার ট্রাফিক পয়েন্ট থেকে নবীনগর পর্যন্ত সড়কটি প্রতিবছরই বন্যায় খানাখন্দে পরিণত হয়।
শহরের সড়কগুলোকে আরও ভালো করে মেরামত করার উদ্যোগের কথা জানালেন সুনামগঞ্জ পৌর মেয়র নাদের বখত। তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর বন্যায় সড়কের ক্ষতি হচ্ছে। সড়কগুলো যাতে বৃষ্টি ও পানিতে ক্ষতি না হয়, আমরা প্রকৌশলীদের সঙ্গে পরামর্শ করে বিটুমিনের পরিমাণ বাড়িয়ে সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেব।’