ফারিয়া রহমান খান
নারীর সাজসজ্জায় ব্লাশনের ব্যবহার বহুদিনের পুরোনো। আগেকার দিনে বিভিন্ন ফুল ও ফলের রস ব্যবহার করা হতো ব্লাশন হিসেবে। এখন বিভিন্ন রকমের ব্লাশন কিনতে পাওয়া যায়। মেকআপের ট্রেন্ডে যতই পরিবর্তন ঘটুক না কেন, ব্লাশনের ব্যবহার কখনোই লোপ পায়নি। সঠিকভাবে ব্লাশনের ব্যবহার আপনাকে যেমন আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে, ঠিক তেমনি ব্লাশনের ভুল ব্যবহারে আপনাকে অতিরঞ্জিত ও বয়স্ক দেখাতে পারে। ব্লাশন ব্যবহারে যে ৫টি ভুল এড়িয়ে চলবেন, সেগুলো হলো:
৫. ভুল রং বেছে নেওয়া
বাজারে বিভিন্ন রঙের, যেমন গোলাপি, পাম, পিচ ও বাদামি ব্লাশন পাওয়া যায়। এগুলোর একেকটি একেক রঙের ত্বকের জন্য মানানসই। ফরসা ত্বকের জন্য গোলাপি ও উজ্জ্বল পিচ রঙের ব্লাশন বেশি মানানসই। আবার শ্যামলা ও গাঢ় রঙের সঙ্গে পাম অথবা বাদামি রঙের ব্লাশন মানিয়ে যায়। বাদামি রঙের ব্লাশন অবশ্য সব ধরনের ত্বকের সঙ্গে মানিয়ে যায়। সুতরাং আপনার ত্বকের রং অনুযায়ী যদি সঠিক রঙের ব্লাশন ব্যবহার করেন, তাহলে আপনাকে দেখতে দারুণ লাগবে। সে ক্ষেত্রে যেসব দোকানে টেস্টার ব্যবহারের সুযোগ থাকে, সেখান থেকে দেখে নিজের ত্বকের সঙ্গে মানানসই ব্লাশন সহজে খুঁজে নিতে পারেন।
৪. ভুল ফর্মুলা এবং ভুলভাবে ব্লেন্ড করা
বাজারে বিভিন্ন ফর্মুলার ব্লাশন পাওয়া যায়। পাউডার ও ক্রিম ব্লাশনের ব্যবহার বিশেষভাবে প্রচলিত। আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী আপনাকে সঠিক ফর্মুলার ব্লাশনটি বেছে নিতে হবে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য পাউডার ব্লাশন ভালো এবং এটি ব্যবহার করাও সহজ। অন্যদিকে শুষ্ক ত্বকের জন্য ক্রিম ব্লাশন উপযুক্ত। সুতরাং আপনার ত্বকের ধরন বুঝে এটি নির্বাচন করুন। তবে যে ব্লাশনই ব্যবহার করুন না কেন, তা অবশ্যই ঠিকভাবে ব্লেন্ড করতে হবে, নাহলে দেখতে ভালো লাগবে না।
৩. বেজ ছাড়া ব্লাশনের ব্যবহার
অনেক সময় দেখা যায় ব্লাশন বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। এর অন্যতম কারণ হলো, কোনো প্রকার বেজ ছাড়াই ব্লাশনের ব্যবহার করা। যেন ঠিকভাবে ত্বকের সঙ্গে মিশে যায়, সে জন্য অবশ্যই কোনো ময়েশ্চারাইজার, ফাউন্ডেশন অথবা পাউডার বেজ হিসেবে ব্যবহার করে তবেই ব্লাশন ব্য়বহার করতে হবে। এতে এটি দীর্ঘস্থায়ী হবে এবং দেখতেও সুন্দর হবে।
অনেকেই মনে করেন, ব্লাশন শুধু গালে ব্যবহার করলেই বুঝি দেখতে সুন্দর লাগে দেখতে। কিন্তু ব্যাপারটি মোটেই তেমন নয়। গালের ঠিক কোন অংশে ব্লাশন লাগাবেন, সেটা বোঝাটা গুরুত্বপূর্ণ। সবার মুখের গড়ন এক রকম নয়। তবে সাধারণভাবে বলা যায়, ঠোঁট থেকে আনুমানিক দুই আঙুল ওপরে গালের অংশে এটি লাগাতে পারেন। হাসলে গালের যে অংশ উঁচু হয় অথবা যেখানে রক্তের সঞ্চালন বেড়ে যায়, সেখানে ব্লাশন ব্যবহার করতে হবে। তারপর সেখান থেকে চিক বোন ও কপালের দিকে হালকা করে ব্লাশন ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
১. ভুল ব্রাশের ব্যবহার
ব্লাশন লাগাতে অবশ্যই সঠিক ব্রাশ দরকার। বেশি ঘনত্বের ব্রাশে বেশি পরিমাণে ব্লাশন আটকায় বলে এর ব্যবহার বেশি হয়। সে জন্য হালকা ঘনত্বের ব্রাশে হালকা করে ব্লাশন লাগিয়ে একটু ঝাড়া দিয়ে বাড়তি ব্লাশন ঝেড়ে ফেলে দিয়ে, তবেই ত্বকে ব্যবহার করুন। এতে ব্লাশনের ব্যবহার খুবই স্বাভাবিক দেখাবে।
সূত্র: গুড হাউস কিপিং