বদরগঞ্জে এই প্রথমবারের মতো অ্যাপে নিবন্ধনের মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে খাদ্য বিভাগ। সরকারিভাবে ধান কেনার ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতি রোধ করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এ জন্য উপজেলার কৃষকদের নিবন্ধনে আগ্রহী করতে মাইকিং করে প্রচার চালাচ্ছে স্থানীয় খাদ্য বিভাগ।
উপজেলা সরকারি খাদ্যগুদাম কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার বদরগঞ্জ থেকে ১ হাজার ১৮৩ মেট্রিক টন আমন ধান ২৭ টাকা কেজি দরে সংগ্রহ করা হবে। এই কাজে অনিয়ম রোধে অ্যাপ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
ধান বিক্রি করতে আগ্রহী কৃষকদের প্রথমে কৃষি কার্ড ও জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে অ্যাপে নিবন্ধন করতে হবে। এরপর সরকারি গুদামে ধান বিক্রির জন্য আবেদন করতে হবে। এই কাজে কৃষককে উদ্বুদ্ধ ও নিবন্ধনে সহযোগিতা করার জন্য রয়েছেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন উদ্যোক্তা, খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং উপজেলা ও জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, বদরগঞ্জে আমন চাষির সংখ্যা প্রায় ৫৫ হাজার। ধান চাষ হয়েছে ১৯ হাজার ৬১০ হেক্টর জমিতে। গতকাল শনিবার পর্যন্ত কর্তন হয়েছে ২৯ ভাগ জমির ধান।
উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘অ্যাপের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধের সনদ সম্পর্কিত তথ্য এসএমএসের মাধ্যমে পাবেন কৃষক। তাঁরা নিবন্ধন ও আবেদন সম্পন্নের পর ধান ক্রয়ে কম্পিউটারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে লটারিতে নির্বাচিত হবেন। এ ছাড়া অ্যাপে ধান ক্রয়ে সময়, খরচ, হয়রানি ও ভোগান্তি কমবে। এতে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য থাকবে না।’
আশরাফুল ইসলাম জানান, সারা দেশে গত ৭ নভেম্বর থেকে ধান সংগ্রহ শুরু হয়েছে। তবে বদরগঞ্জে অ্যাপের কারণে এখনো তা শুরু হয়নি। অচিরেই সংগ্রহ শুরু করা হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা মো. জোবাইদুর রহমান বলেন, ‘এ উপজেলায় অ্যাপের মাধ্যমে খাদ্যগুদামে ধান সংগ্রহ শুরু হলে প্রকৃত আমন চাষিরা উপকৃত হবেন। কৃষকদের নামে মধ্যস্বত্বভোগীদের গুদামে ধান দেওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না। এতে সরকারের ন্যায্যমূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের যে উদ্দেশ্য তা সফল হবে।’