হোম > ছাপা সংস্করণ

আবাদ কমেছে কাউন, যবের

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ে একসময় কাউন, যব ও ঢেমসির ব্যাপক আবাদ হতো। আশানুরূপ ফলন ও দাম না পাওয়ায় এসব আদি ফসলের আবাদ কমে গেছে। তবে জেলায় কয়েকজন কৃষক কাউন ও যবের চাষ করলেও ঢেমসির আবাদ উঠে গেছে।

সদর উপজেলার উত্তর হরিহরপুর গ্রামের ষাটোর্ধ্ব কৃষক ইসহাক আলী জানান, তিনি একসময় কাউন, যব ও ঢেমসির আবাদ করতেন। লাভ করতে না পারায় এসব ফসলের আবাদ থেকে তিনি সরে এসেছেন। এখন তিনি ধান, পাট, আখ, ভুট্টা, গম ও সবজির চাষ করছেন।

নারগুর ইউনিয়নের কহরপাড়া গ্রামের জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘কৃষিতে এখন খরচ বেশি। একদিকে বৈরী আবহাওয়া, অন্যদিকে শ্রমিকের মজুরি বেশি। তাই লাভজনক ফসল চাষ করছি।’

কৃষি বিভাগ জানায়, কাউন জ্যৈষ্ঠ মাসে ওঠে। যব ওঠে গমের মৌসুমে। আর শীতের শেষে চাষ হয় ঢেমসির। সব ধরনের জমিতে চাষ হয় এসব ফসল। এ বছর জেলায় ২ হেক্টর জমিতে কাউনের আবাদ হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু হোসেন জানান, কৃষির আধুনিকীকরণ ও উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবনের ফলে লাভজনক শস্য উৎপাদনে ঝুঁকছেন কৃষক। কাউন, যব ও ঢেমসি চাষের গুরুত্ব সম্পর্কে তিনি বলেন, কাউন চাষে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায়। আদি ফসলগুলো খরাসহিঞ্চু, রোগবালাই ও কীটপতঙ্গমুক্ত। কাউনের চালের ভাত, পায়েস ও পিঠা খেতে সুস্বাদু। যবের ছাতু ও ঢেমসির চালের ভাত-খই পুষ্টিমানে ভালো।

ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক জিপি সাহা বলেন, এসব খাদ্যের পুষ্টিগুণ অনেক। ভেষজ গুণাগুণও রয়েছে যব, কাউন ও ঢেমসিতে। সহজে হজম হয় এসব খাবার।

এদিকে জেলার হাট-বাজারে প্রতি কেজি কাউনের চাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে। ভোজনবিলাসীরা পায়েস, পিঠা তৈরির জন্য কেনেন এই খাদ্যশস্য।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন