রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) একজন নারী উদ্যোক্তা জন্মসনদের জন্য অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা বিষয়টি একাধিকবার ইউপি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছেন। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাননি। তাই তাঁরা ওই উদ্যোক্তা ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে ইউপির সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে প্রায় আধা ঘণ্টা সময় ধরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় বক্তব্য দেন সেনবাগ এলাকার কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি আমার পরিবারের দুজন সদস্যের জন্মসনদ তুলতে যাই ইউনিয়ন পরিষদে। সেখানে নারী উদ্যোক্তা মাহমুদা সিদ্দিকা আমার কাছ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা নেন। এরপর তিনি মাত্র ৪০০ টাকার রসিদ দেন। আরও টাকার জন্য কয়েক দিন ধরে আমাকে হয়রানি করছেন। বিষয়টি চেয়ারম্যানকে একাধিকবার জানালেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।’
জিউপাড়া গ্রামের আরেক ভুক্তভোগী আব্দুস সালাম বলেন, ‘সন্তানদের স্কুলের ভর্তির জন্য জন্মসনদ করাতে পরিষদে যাই। সেখানে চেয়ারম্যানের আত্মীয় একজন মহিলা উদ্যোক্তা রয়েছেন। তিনি আমার কাছে দুটি সনদ করাতে এক হাজার টাকা নেন। এরপর তিনি বাচ্চাদের নামের বানানে ভুল করেন। আর সেই ভুল সংশোধন করতে আরও এক হাজার টাকা দাবি করেন। আমি টাকা না দেওয়ায় তিনি আমাকে জন্মসনদ সংশোধন করে দেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।’
এ বিষয়ে তাঁর মন্তব্য জানার জন্য একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও নারী উদ্যোক্তা মাহমুদা সিদ্দিকার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ইউপি চেয়ারম্যান মোসা. হোসনেয়ারা বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে এখন কিছু বলব না। বাইরে আছি। পরে যোগাযোগ করেন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, ‘অতিরিক্ত অর্থের বিনিময় সেবা দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ লিখিত অভিযোগও করেননি। ভুক্তভোগীরা আমার কাছে অভিযোগ দিলে অবশ্যই তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’