চৌদ্দগ্রামে চেক জালিয়াতি মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি আবদুল হাই মজুমদারকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আবদুল হাই উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে রাজশাহীর পুঠিয়া পৌর এলাকার ঝলমলিয়া গ্রামের আবদুল গাফফার টিপুকে ১২ লাখ টাকার চুক্তিতে ফ্রান্স নেওয়ার কথা বলে সাত লাখ টাকা নেন আবদুল হাই মজুমদার। টাকা নেওয়ার কিছুদিন পর টিপুকে ভারতে নিয়ে গিয়ে তিন-চার লাখ টাকা খরচ করানো হলেও কিন্তু টিপুকে ফ্রান্সে পাঠাতে ব্যর্থ হন আবদুল হাই। পরবর্তীকালে টিপু টাকা ফেরত চাইলে আবদুল হাই টালবাহানা শুরু করেন। টাকার চিন্তায় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ফলে ২০১৮ সালের ৫ মার্চ টিপু ইন্তেকাল করেন। টাকা ফেরত দিতে টালবাহানা করায় টিপুর বাবা আবদুস সাত্তার বাদী হয়ে আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে দুটি চেক জালিয়াতির মামলা করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ২০১৯ সালে আবদুল হাই মজুমদারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, ‘মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আব্দুল হাইকে ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’