যশোরের কেশবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) স্থগিত কেন্দ্রের ভোট আজ সোমবার অনুষ্ঠিত হবে। পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে সদর ইউনিয়নের নতুন মূলগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট কাটাকাটির অভিযোগে স্থগিত হয়ে যায়।
নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশের পাশাপাশি থাকবে র্যাব। কেন্দ্রে থাকবেন একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তবুও এই কেন্দ্রের ভোট ঘিরে ভোটারদের মধ্যে রয়েছে সংশয়। সুষ্ঠু ভোটের দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের দিন সদর ইউপির নতুন মূলগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোটের কারণে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ওই কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করেন। নির্বাচন কমিশন ৭ ফেব্রুয়ারি এই কেন্দ্রে পুনরায় ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ১১৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ হাজার ১১৩ জন ও নারী ভোটার ১ হাজার ৬ জন।
কেশবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া ওই কেন্দ্রে ইউপি সদস্য পদে চারজন এবং সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য পদে চারজন প্রার্থী রয়েছেন। অন্য আটটি ওয়ার্ডে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গৌতম রায় ৫ হাজার ৩৮৭ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা মোটরসাইকেল প্রতীকের আলাউদ্দীন আলা ৪ হাজার ৯২৯ ভোট পেয়েছেন। নৌকার প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন ৪৫৮ ভোটে। মূলত এ কেন্দ্রের ভোটের ফলেই নির্ধারণ হবে এ দুজনের মধ্যে কে হচ্ছেন চেয়ারম্যান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ভোটার বলেছেন, কেন্দ্রের পরিবেশ পরিস্থিতি দেখে তারা ভোট দিতে আসবেন। বিশেষ করে নারী ভোটারেরা বলেছেন, কেন্দ্রে কোনো প্রকার গন্ডগোল হলে তাঁরা ভোট দিতে কেন্দ্রে আসবেন না।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা বজলুর রশীদ বলেন, ‘ওই কেন্দ্রের ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, ‘স্থগিত হওয়া কেন্দ্রের ভোট নিতে একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া র্যাবের একটি দলও কেন্দ্রে থাকবে।’