লেবাননের বৈরুতে বিষপানে মারা যাওয়া শিরিনার লাশ গতকাল শুক্রবার নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার লেবাননে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় শিরিনার লাশ হযরত শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমানবন্দরে পৌঁছে। বিমানবন্দরে সব প্রক্রিয়া শেষে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় দেবিদ্বার উপজেলার ধামতি গ্রামের বাড়িতে তাঁর লাশ পৌঁছলে স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় জানাজা শেষে লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানা গেছে, নিহত শিরিনা দেবিদ্বার উপজেলার ধামতি গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেন আসু মিয়ার মেয়ে। ১২ বছর আগে মায়ের সঙ্গে তিনি লেবাননে যান। সেখানে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার দক্ষিণ কাঁদরার রাজুর সঙ্গে বিয়ে হয়।
গত ২১ আগস্ট লেবাননের বৈরুতে বাংলাদেশি অধ্যুষিত সাবরা বাজার এলাকার একটি বাসা থেকে শিরিনা ও তাঁর দুই সন্তানকে বিষপানরত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রতিবেশীরা। পরে দুদিন চিকিৎসাধীন থেকে তাঁর পাঁচ বছরের সন্তান খাদিজা মারা যায়। পরদিন শিরিনাও মারা যান।
তবে বিষক্রিয়া কম থাকায় অপর সন্তান মাহমুদ বেঁচে যায়। মাহমুদ বর্তমানে লেবাননে এক প্রতিবেশীর আশ্রয়ে রয়েছে। লেবাননের বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় শিশু খাদিজাকে সেখানে দাফন করা হয়।
শিরিনার ছোট ভাই আকতারুজ্জমান বলেন, পরিবারের ভরণপোষণ মেটাতে ১২ বছর আগে তাঁর মা ও শিরিনা লেবাননে গিয়েছিলেন। মা অসুস্থ হয়ে পড়লে বাড়িতে চলে আসেন। শিরিনা সেখানে স্বামীর সঙ্গে বসবাস করছিলেন। গত বছর লেবানন সরকার তাঁর স্বামী রাজুকে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকায় বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। এরপর থেকে সে শিরিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করতে থাকে।
শিরিনার মৃত্যুর জন্য রাজুকে দায়ী করে শিরিনার মা মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘প্রতারক রাজু আমার মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী। তাঁর বিচার চাই।’