তিতাস উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গতকাল বৃহস্পতিবার বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে নারী-পুরুষ, শিশুসহ ১২ জন আহত হয়েছে। গত বুধবার ৮ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে চার শিশুর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা কয়েকজন হলেন উপজেলার দুলারামপুর গ্রামের রায়হান (১০), চরকুমারিয়া গ্রামের মিহাদ (৭), ইসলামাবাদ গ্রামের দারোগ আলী (৫০), হরিপুর গ্রামের শারমিন আক্তার (২৩), তাসলিম মিয়া (২৫), বার কাউনিয়া গ্রামের হাবিব (১০), হাইধনকান্দি গ্রামের বাতেন মিয়া (৫৫), দড়িকান্দি গ্রামের রাসেল (১০), একই গ্রামের রাইসা (৮), তামিম (৬), নারান্দিয়া গ্রামের সায়মুন (৭), কালিপুর গ্রামের রাইফল বেগম (৬০), সুমি আক্তার (২৫), আ. রহমান (৪) ও মেহেদী (৬)।
এদের মধ্যে রাসেল, রাইসা, তামিম ও সায়মুনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা সবাই তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছে।
আহত দারোগ আলী (৫০) বলেন, সকালে নিজ বাড়ি ইসলামাবাদ থেকে স্থানীয় দুলারামপুর বাজারে যাওয়ার পথে পেছন থেকে লাল রঙের একটি কুকুর এসে পায়ে কামড় দেয়।
শারমিন আক্তার (২৩) বলেন, ‘সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে আমি উঠানে দাঁড়িয়ে ছিলাম। রান্না ঘর থেকে একটি কুকুর এসে আমার পায় কামড়ে ধরে।’
হাবিব মিয়া (১০) নামের শিশুর মা শিখা আক্তার বলেন, সকাল ৭টার দিকে বাবার সঙ্গে হাবিব চরকুমারিয়া বাজারে যাচ্ছিল। এ সময় তোফাজ্জলের দোকানের সামনে গেলে কুকুর এসে হাবিবের পায়ে কামড় দিয়ে চলে যায়।
দুলারামপুর গ্রামের আহত রায়হানের (১০) মা নাজমা আক্তার বলেন, ‘গত বুধবার দুপুরে মা-ছেলে বৃষ্টিতে উঠানে গোসল করছিলাম। এমন সময় একটি কুকুর এসে আমার ছেলের হাত এবং পিঠে কামড় দেয়।’
নারান্দিয়া ইউনিয়নের খলিলাবাদ গ্রামের বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক মো. মাসুম বিল্লা বলেন, বেওয়ারিশ কুকুর নিধনে উদ্যোগ গ্রহণ করা অতি জরুরি, না হয় জলাতঙ্ক রোগের বিস্তার হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্য চিকিৎসক মোস্তফা জামান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ও বুধবার এই দুই দিনে ২০ জনের মতো কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে চিকিৎসা নিতে এসেছে। এদের মধ্যে চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি সবাইকে আমরা চিকিৎসা দিয়েছি।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সরফরাজ হোসেন খান বলেন, আগেও বেওয়ারিশ কুকুরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গত দুই দিনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। আবারও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বেওয়ারিশ কুকুরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।