হোম > ছাপা সংস্করণ

সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

সামান্য বৃষ্টিতেই কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে পৌরবাসী। বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা দুর্ভোগে পড়ছেন বেশি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এলাকাবাসী জানান, শহরের বিভিন্ন জায়গায় পৌর কর্তৃপক্ষ নালা নির্মাণ করেছে ঠিকই, কিন্তু তা কোনো কাজে আসছে না। নালাগুলো অগভীর। আর তা মাটিতে ভরে গেছে। এ কারণে অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। নালার ময়লা-আবর্জনা বৃষ্টির পানির সঙ্গে সড়কে উঠে আসে। এ ছাড়া মুষলধারে বৃষ্টি হলে নালার নোংরা পানি সড়কের পাশের বাড়িতেও ঢুকে পড়ে। তখন অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষদের।

বৃষ্টিতে কুষ্টিয়া শহরের এন, এস, রোড, সরকারি কলেজ, মডেল থানা, র‍্যাব গলির রাস্তা, আর এ চৌধুরী খান রোড, পেয়ারাতলা, জেলখানা, হাসপাতাল রোড, পূর্ব মজমপুর, পশ্চিম মজমপুর, কাটাইখান মোড় ও ছয় রাস্তার মোড়সহ বিভিন্ন এলাকা প্রায় এক ফুট আবার কোথাও কোথাও দেড় থেকে দুই ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে মানুষের সমাগম অনেকটাই কম। এক দেড় ঘণ্টার বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে কুষ্টিয়ার গুরুত্বপূর্ণ এনএস রোড। যার ফলে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকেছে পানি। যার ফলে বিপাকে পড়তে দেখা গেছে ব্যবসায়ীদের।

রাছেল নামের এক ব্যবসায়ী জানান, ‘প্রায় শতকোটি টাকা ব্যয়ে নালা সংস্কারের কাজ করেছে পৌরসভা। কিন্তু এখন আগের চাইতে বেশি পানি জমছে সড়কে। তাহলে এত টাকা খরচের দরকার কি ছিল।’

এদিকে পৌর কাচা বাজারের বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের বিপাকে পড়তে দেখা যায়। হোসেন আলী নামের এক সবজি ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমি যে জায়গায় সবজি বিক্রি করি, সেখানে পানি জমে গেছে। ফলে বেশির ভাগ সবজি এখনো বিক্রি করতে পারিনি।’

গতকাল বুধবার বেলা দেড়টার সময় কুষ্টিয়া গার্লস স্কুলের সামনের রাস্তায় দেখা যায়, বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে আছে। রাস্তায় পানি জমে থাকায় তাঁরা পার হতে পারছে না। শিক্ষার্থীরা জানায়, রাস্তায় পানি থাকায় জুতা পরে রাস্তা পার হতে পারছে না তাঁরা। নালাগুলো যদি পরিষ্কার থাকত, তাহলে দ্রুত পানি নিষ্কাষণ হত। এতে দুর্ভোগে পড়তে হতো না তাঁদের।

কুষ্টিয়া শহরের বাসিন্দা মুফতি শামছুর রহমান বলেন, অল্প বৃষ্টি হলেই আমাদের এলাকার রাস্তাগুলোতে পানি জমে যায়। হেঁটে চলাচল করা যায় না। তা ছাড়া বৃষ্টি হলেই রিকশা চালকেরা ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। ২০ টাকার ভাড়া তখন ৫০ টাকা হয়ে যায়। ভাড়া বৃদ্ধি হওয়ার কারণে অনেকেই প্রয়োজন থাকলেও বাসা থেকে বের হয় না।’

জানতে চাইলে কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম এই জলাবদ্ধতার জন্য জিকে কর্তৃপক্ষ এবং অবৈধ দখলদারদের দায়ী করে বলেন, আমরা পরিকল্পিতভাবে নালার কাজ করেছি, কিন্তু এসব নালার মুখগুলো গিয়ে মিশেছে জিকের খালে। কিন্তু সেখানে অবৈধ দখলদারদের জন্য নালার মুখ চিকন হয়ে গেছে। যার ফলে পানি যেতে পারছে না। যার ফলে শহরবাসীকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।’

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন